ঈদে রেমিট্যান্স এলো প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা
প্রতিবছরই রমজান মাসে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স তথা প্রবাসী আয় বেড়ে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটছে না। রোজার শুরু থেকেই বেশি বেশি রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এর ফলে চলতি এপ্রিল মাসের ২১ দিনে অর্থাৎ ঈদের আগের দিন পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৭ কোটি ১৭ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৩ হাজার ৬০৭ কোটি টাকা। গত ১৬ এপ্রিল কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যানে এ তথ্য জানা গেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তত্থ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ২১ দিনে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার, অন্যান্য বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১০৫ কোটি ৭৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪২ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
গত মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২০১ কোটি ৭৭ লাখ ডলার, যা সাত মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর আগে গত বছর আগস্টে দেশে সর্বোচ্চ ২০৩ কোটি মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। গত ফেব্রুয়ারিতে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৫৬ কোটি ১২ লাখ ডলার।
সব মিলিয়ে ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স আহরণের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক সংঙ্কটে রিজার্ভে যে টান পড়েছিল, চলতি অর্থ বছরে তা অনেকাংশে কেটে গেছে। বৈধপথে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রেমিট্যান্স পাঠানো সহজীকরণসহ সরকারের প্রণোদনার মতো একগুচ্ছ উদ্যোগ কাজে লেগেছে।
সর্বশেষ সেবার বিনিময়ে দেশে রেমিট্যান্স আয় আনতে ফরম সি পূরণ করার শর্ত শিথিল করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পাশাপাশি সেবা খাতের উদ্যোক্তা ও রপ্তানিকারকদের ঘোষণা ছাড়াই ২০ হাজার মার্কিন ডলার বা সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা দেশে আনার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এতে বিভিন্ন দেশে কর্মরত প্রবাসীরা বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহী হয়েছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ঈদে রেকর্ড রেমিটেন্স এসেছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এপ্রিল মাস শেষে রেমিট্যান্স ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলেও আশাবাদী সবাই।