রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ'র মাঝেও বেকারত্ব বাড়েনি!

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:১৩, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩, ১৬ চৈত্র ১৪২৯
  • একে একে বদলাতে থাকে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন চিত্র।
  • উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে সর্বত্র।
  • কর্মসংস্থান বাড়ায় কমতে থাকে বেকারত্ব।
  • এখন বেকারত্বের হার মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশ।

ঘরে ঘরে চাকরি আর ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০০৯ সালে ক্ষমতায় বসে আওয়ামী লীগ সরকার। এরপর একে একে বদলাতে থাকে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন চিত্র। উন্নয়নের ছোঁয়া লাগে সর্বত্র। কর্মসংস্থান বাড়ায় কমতে থাকে বেকারত্ব। দেশে এখন বেকারত্বের হার মাত্র ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বা ২৬ লাখ ৩০ হাজার জন। সম্প্রতি এমনই তথ্য উঠে এসেছে শ্রমশক্তি জরিপ ২০২২-এর সাময়িক প্রতিবেদনে।

শ্রমশক্তি জরিপের তথ্যমতে, ছয় বছর আগে বা ২০১৭ সালে বেকারত্ব ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। এখন বেকারত্ব কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে। তবে ২০০৯ সালে আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার আগে বেকারত্বের হার শঙ্কা জাগিয়েছিল। ২০০৬ সাল তথা বিএনপি আমলে বেকারত্বের হার ছিল ১৪ দশমিক ২ শতাংশ। অর্থাৎ দেড় যুগের ব্যবধানে বেকারত্ব কমেছে কয়েকগুণ।

সূত্রমতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের টানা তিন মেয়াদে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগসহ আশাব্যঞ্জক গতিতে বেড়েছে কর্মসংস্থান। সবচেয়ে বেশি কাজ বেড়েছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে। এখানে সহজেই নিজের পথ খুঁজে নিতে পারেন দেশের বেকার তরুণ-যুবকরা। তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নতি হওয়ায় দেশে ইন্টারনেটে কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে। ফ্রিল্যান্সিং পেশায় বিশ্বে তিন নম্বরে রয়েছে বাংলাদেশ।

দক্ষতা বৃদ্ধির সুযোগ বা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারায় অনলাইনমুখী কাজে এখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকছেন তরুণরা। তারা এখন ঘরে বসেই ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক ডিজাইন, প্রোগ্রামিং; এমনকি কল সেন্টারের কাজও করতে পারেন। বেকারত্ব দূরীকরণে অসামান্য ভূমিকা রাখছে ফ্রিল্যান্সিং বা আউটসোর্সিং। এছাড়া ইউটিউব ও ফেসবুকসহ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে মাসে লাখ টাকাও আয় করছেন কেউ কেউ।

একই সঙ্গে কৃষি, চাষাবাদ, খাদ্যশস্য বিপণন, পরিবহন, যোগাযোগ, চিকিৎসা, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ সব ক্ষেত্রেই বহুলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তি। অথচ ২০০৯ সালের আগে তথ্যপ্রযুক্তিতে অজ্ঞ ছিল দেশের অধিকাংশ জনগোষ্ঠী।

অন্যদিকে বর্তমানে পুরুষের সঙ্গে নারীরাও সমানতালে এগিয়ে যাচ্ছেন। সরকারের আর্থিক সহায়তা নিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে বেড়েই চলেছে নারীর সংখ্যা। ব্যাংক ঋণসহ ব্যবসা চালানোর আনুসঙ্গিক কার্যক্রম সহজ করায় কর্মসংস্থানেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন তারা। গত এক দশকে দেশে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। বর্তমানে দেশে ৩২ শতাংশেরও বেশি নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন।

খাত সংশ্লিষ্টিরা বলছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে নারীরা ঘর সামলানোর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিংসহ ফেসবুক-ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যমে ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। ফেসবুক পেজ খুলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করছেন নিজের প্রতিষ্ঠানের পণ্য। এছাড়া আগে যেসব তরুণ কিংবা যুবক বেকার ঘুরে বেড়াতেন তারাও এখন ফেসবুক-ইউটিউবে ভিডিওর মাধ্যমে টাকা আয় করছেন। ফলে করোনা কিংবা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবেও দেশে বেকারের সংখ্যা বাড়েনি। কমেনি কর্মসংস্থানও।

Share This Article


বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের ২৮৮ সেনা ও বিজিপি সদস্যদের হস্তান্তর

রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশের পাশে আছে: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

‘নবায়নযোগ্য জ্বালানি ৪০ শতাংশে উন্নীত করার চেষ্টা করা হচ্ছে’

ছয়দিনের সফরে ব্যাংককে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী

থাইল্যান্ডের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন প্রধানমন্ত্রী

র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার নতুন পরিচালক কমান্ডার আরাফাত

প্রধানমন্ত্রী আজ থাইল্যান্ড যাচ্ছেন

কাতারের কাছে দীর্ঘমেয়াদি জ্বালানি সহায়তা চায় বাংলাদেশ

নারীদের গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্ধারণের সুপারিশ

চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট ৫ জুন

প্রথম ধাপের উপজেলা ভোটে ২৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী

পুলিশ শুধু আইনশৃঙ্খলায় নয়, মানবিকতায়ও নজির স্থাপন করেছে