ফখরুলকে সিইসির জবাব: সরকারের আজ্ঞাবহ কাজ নির্বাচন কমিশন করে না!*

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:২৭, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৩, ১৬ চৈত্র ১৪২৯

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে গত বছরের জুলাইয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপে ডেকেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সংলাপে অন্যান্য দল অংশগ্রহণ করলেও যোগ দেয়নি বিরোধী দল বিএনপি। 

এর আগেও ইভিএম নিয়ে মতবিনিময়ের জন্য ডাকা হলে সাড়া দেয়নি দলটি। সম্প্রতি বিএনপিকে অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের আমন্ত্রণ জানানো হলে বরাবরের মতোই সরকারের কূটকৌশল বলে আখ্যা দিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল।

নির্বাচন নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনার আমন্ত্রণ জানিয়ে গত ২৩ মার্চ বিএনপিকে চিঠি দেন সিইসি। এর জবাবে ২৭ মার্চ বিএনপি মহাসচিব বলেন, 'সরকার নাটক শুরু করেছে, নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে সংলাপের জন্য আমাদের চিঠি পাঠায়।ইসির সঙ্গে কোনো আলোচনা করে লাভ নেই। কারণ নিরপেক্ষ নির্বাচন করার ক্ষেত্রে ইসির কোনো ক্ষমতাই নেই। তাছাড়া ইসি নিজেও পক্ষপাতদুষ্ট এবং সরকারের মদদপুষ্ট।অবশ্য এর আগে বিএনপি মহাসচিব বলেছিলেন, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা করতে চাইলে তারা আলোচনায় বসতে রাজি।

বিএনপি মহাসচিবের এই বক্তব্যের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ২৮ মার্চ এক ব্রিফিংয়ে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল সাংবাদিকদের বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ তৈরির জন্যই বিএনপির সঙ্গে তারা আলোচনা করতে চেয়েছেন। তিনি বলেন, 'বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল, নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ করাটা জরুরি। তবে এর মধ্যে সরকার বা অন্য কারও কুট কৌশল নেই। সরকারের আজ্ঞাবহ কোনো কাজ নির্বাচন কমিশন করে না।'

সিইসি বলেন, পত্রটি সরকারের পরামর্শ অনুযায়ী নয়। এটা মনে করায় আমরা অনেক সময় ব্যথিত হই যে, সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে কোনো কাজ আমরা করব। আমরা সরকারের আজ্ঞাবহন করিনি। আমাদের চিন্তার মধ্য দিয়ে এটা ফুটে উঠেছে যে, বিএনপির মতো একটি বড় দলকে নির্বাচনে আনতে পারলে ভালো হয়। তিনি বলেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করতে চাই। আলোচনার ফল ইতিবাচক হতেও পারে, না-ও হতে পারে। প্রয়াস গ্রহণ করতে তো কোনো বাধা থাকা উচিত নয়।

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরো বলেন, আমরা প্রথম থেকেই অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক এবং কার্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন প্রত্যাশা করি। নির্বাচন কমিশন মনে করে, গণতন্ত্রের স্বার্থে এবং দলীয় গণতন্ত্রের স্বার্থে বিশেষ করে দলগুলোর নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা প্রয়োজন। সংসদীয় গণতন্ত্রে দলীয় শাসনটাই মুখ্য। বিদ্রোহী বা স্বতন্ত্রপ্রার্থী দ্বারা কখনও সরকার গঠন করা সম্ভব হয় না। সেই জন্য আমাদের লক্ষ্য, আমাদের দলগুলো চর্চার মাধ্যমে আরও সমৃদ্ধ, সংহত হোক এবং দেশে দলীয় চর্চা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার আরো সংহত হোক।

Share This Article


ঈদযাত্রায় স্বস্তি আনতে ১৫ বছরে সরকারের যত উদ্যোগ

বৃদ্ধির পথে রিজার্ভ: বাড়ল ৫১ কোটি ডলার!

গ্রামীণ ফোনের ইনকামিং কল চার্জ বন্ধ করলেও বিদেশী বন্ধুদের দ্বারা সরকারকে থ্রেট দিয়েছিলেন ইউনুস!

পোশাকের নতুন বাজার: আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে ১০ গুণ বেড়েছে রপ্তানি!

পাহাড়ে ‘কেএনএফ’ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আসলে কারা?

বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তায় শঙ্কা: বাংলাদেশের অবস্থান কোথায়

প্রধানমন্ত্রীর মুখে গ্রামীন ফোন নিয়ে ধোঁকাবাজির গল্প!

কেমন আছে ইউনুসবিহীন গ্রামীন ব্যাংক?

ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণের ‘সাপ্তাহিক কিস্তি’ চক্র যখন ফাঁদ

ইজরাইলি ভাস্কর্য শিল্পী মিজ হেদভা সের স্বারক পুরস্কারকে কেন ইউনেস্কোর বলে চালালেন ইউনুস?

গ্রেফতার হবার আগেই যেভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন বঙ্গবন্ধু

ইউনূসের বিরুদ্ধে যত মামলা: কারা, কবে,কেন করেছে