‘লিটিল বাংলাদেশ' থেকে 'বাংলাদেশ স্ট্রিট': যুক্তরাষ্ট্রে গুরুত্ব বাড়ছে বাংলাদেশিদের!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:০১, মঙ্গলবার, ২৮ মার্চ, ২০২৩, ১৪ চৈত্র ১৪২৯

কোনো দেশকে সম্মান প্রদর্শন কিংবা কোনো দেশের উন্নয়নকে স্বীকৃতি দিতে সেই দেশের নামে কোনো সড়ক বা এলাকার নাম রাখা ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত। তাও যদি হয় বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ আমেরিকা; তাহলে সেটা গর্ব করার মতোই। আমেরিকায় অনেক বছর আগে ‘লিটল বাংলাদেশ’ নামে কয়েকটি সড়কের নামকরণ করলেও দেশটিতে এবার দ্বার খুলেছে ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামে নতুন সড়কের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিধর রাষ্ট্রে এমন সড়কের নামকরণ করার মাধ্যমে দেশটিতে বাংলাদেশিদের গুরুত্ব বাড়ছে বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।

 

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের জ্যাকসন হাইটস এলাকার ৭৩ স্ট্রিটের নাম বদলে ফেলা হয়েছে। এখন থেকে সড়কটি ‘বাংলাদেশ স্ট্রিট’ নামে পরিচিত হবে। স্থানীয় সময় ২৬ মার্চ এই সড়কের নতুন নাম রাখা হয়। সড়কটির নতুন নামকরণ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে কয়েক শ অভিবাসী বাংলাদেশি যোগ দেন। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন কুইন্স বরোর কাউন্সিল ও নিউইয়র্ক সড়ক নামকরণ কমিটির চেয়ারম্যান শেখর কৃষ্ণান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখর কৃষ্ণান বলেন, ‘নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও ভাষাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশিরা আমেরিকাতেও এক বিশাল জনসমাজ গড়ে তুলেছে। আমেরিকার প্রশাসন, নিরাপত্তা, যানবাহন, রেস্তোরাঁসহ বিভিন্ন খাতে অবদান রাখছে। দেশের ৫৩তম স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশিদের প্রতি সম্মান জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।’

যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতা গ্রেস মেং বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে নানা ক্ষেত্রে অবদান রেখে সুপরিচিত হয়ে উঠছে বাংলাদেশিরা। তারা কৃষি, শিক্ষা ও হোম কেয়ার থেকে শুরু করে রাষ্ট্রীয় উচ্চ পদে আমেরিকার উন্নয়ন করছেন।

এর আগে নিউইয়র্কে বাংলাদেশি–অধ্যুষিত জ্যামাইকায় একটি সড়কের নাম ‘বাংলাদেশ অ্যাভিনিউ’ রাখা হয়েছে। ব্রঙ্কসের স্টালিং অ্যাভিনিউয়ের নাম বদলে রাখা হয়েছে ‘বাংলা বাজার অ্যাভিনিউ’। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বুকে লিটল বাংলাদেশ নামে তিনটি সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে লস অ্যাঞ্জেলস শহরে একটি, ব্রুকলিনে একটি ও আলেকজান্দ্রিয়ায় একটি রয়েছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বাংলাদেশের নাম এখন বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে শোভা পাচ্ছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত বাংলাদেশিদের মর্যাদা কয়েকগুণে বেড়েছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের সঙ্গে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশটির কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতিরও আভাস মিলছে। এর ফলে অন্যান্য দেশেও বাংলাদেশিদের কদর বাড়বে।

Share This Article