আল জাজিরাকে দেশের উন্নয়নের রহস্য জানালেন শেখ হাসিনা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ১২:১৭, সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩, ২৮ ফাল্গুন ১৪২৯

টেকসই অর্থনীতি, শিক্ষা বিস্তার ও সামাজিক উন্নয়নে বর্তমান বিশ্বে এক সফল দেশের নাম বাংলাদেশ। অর্থনীতির আকার, আর নানান প্রতিকূলতায় টিকে থাকা দেশটির নাম বাংলাদেশ। পশ্চিমা গণমাধ্যম ব্লমবার্গ, ওয়াশিংটন পোস্ট, পূবের সিনহুয়া নিউজ, নিক্কিই নিউজসহ তাবড় দুনিয়ার বড় বড় গণমাধ্যমে আজ বাংলাদেশের সফলতার খবর নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করছে।

 

এবার মধ্যপ্রাচ্যের কাতারভিত্তিক প্রভাবশালী গণমাধ্যম আল জাজিরাও বাংলাদেশের উন্নয়নের বন্দনা করেছে। এই সংবাদ মাধ্যমটি গত ১১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি সাক্ষাৎকার সম্প্রচার করে। সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী সাংবাদিক নিক ক্লাক স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতি নিয়েও কথা বলেন।

নিক ক্লার্ক সাক্ষাৎকারের শুরুতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক ও অভূতপূর্ব উন্নয়নের প্রশংসা করে সাফল্যের কারণ জানতে চাইলে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘আমাদের পুঁজি সীমিত। কিন্তু আমি একটি কথা বলতে পারি, আমাদের দেশের জনগণ খুবই ভালো ও প্রাণবন্ত। আর উন্নয়নের বিষয়টি নির্ভর করে নীতির ওপর। এজন্য আমরা সুর্নিদিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। সে অনুযায়ী আমাদের দীর্ঘমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি, স্বল্পমেয়াদি এবং তাৎক্ষণিক কিছু পরিকল্পনা রয়েছে, যা আমরা ধীরে ধীরে বাস্তবায়ন করছি। এভাবেই আমাদের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে।  

বাংলাদেশের অর্থনীতি বহুলাংশে গার্মেন্টস শিল্পের ওপর নির্ভরশীল। তবে অর্থনীতির ভিত শক্তিশালী করতে বাংলাদেশ সরকার এর বাইরে অন্য কোনো খাতে গুরুত্ব দিচ্ছে কি-না বা কী করছে আল জাজিরার পক্ষে তা জানতে চাওয়া হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।

এর উত্তরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানো। এর মাধ্যমে আমরা মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। এছাড়া শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবার মতো মৌলিক চাহিদা পূরণেও আমরা গুরুত্ব দিয়েছি। পাশাপাশি, কীভাবে আরও বেশি মানুষের চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা যায়; সেদিকেও আমরা নজর দিয়েছি।’

‘দেশের আর্থিক উন্নয়নে সরকারি প্রচেষ্টার পাশাপাশি বেসরকারি খাতের সব দিক উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছি। অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছি। তরুণ প্রজন্মকে আমরা উদ্বুদ্ধ করেছি। এছাড়া আমাদের ২০০৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্ৰতিশ্রুতি ছিল।

ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার আইসিটি খাতে গুরুত্বারোপ করেছে। এখন দেশের সর্বত্র ইন্টারনেট আছে। সাবমেরিন ক্যাবল, ব্রডব্যান্ডের মাধ্যমে আমরা মানুষের কাছে পৌঁছেছি। আমরা বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছিলাম; এখন দেশের প্রতিটি অঞ্চলে, প্রতি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

দেশের উন্নয়নের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা গণতান্ত্রিক ধারা বজায় রেখেছি। যার কারণে দেশে ব্যাপক উন্নতি হচ্ছে। আমাদের জিডিপি বাড়ছে। আমার বাবা বেঁচে নেই। কিন্তু আমি তার আদর্শ অনুসরণ করি। আমি চেষ্টা করি, তিনি যেভাবে চেয়েছিলেন সেভাবেই দেশের মানুষের সেবা করতে। এ কারণেই ২০০৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের চেহারা অনেকটাই পাল্টে গেছে। আমি বলব, আমার পিতার দোয়ার কারণেই আমি দেশের জন্য কাজ করতে পেরেছি।’

Share This Article


তিতাসের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার শুরু, দৈনিক মিলবে ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস

সাজা স্থগিতের আদেশ বাতিল : বছরের মাঝামাঝি সময়ে জেলে যাবেন ইউনুস!

যে বিধিবিধান ভঙ্গ করে গ্রামীণ ফোনের হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন ইউনুস

রেমিট্যান্সের ওপর আইএমএফের কর আরোপের পরামর্শ শুনবে কি সরকার?

যে জাতি অর্ধাহারে অনাহারে দিন কাটায়, সে জাতির নেতা হিসেবে আমি জন্মদিন পালন করতে পারি না: বঙ্গবন্ধু

ইউনূসের ক্ষুদ্র ঋণ নয়, দেশের মানুষের ভাগ্য ফিরেছে প্রবাসী আয় ও পোশাক শিল্পে!

বিশ্ব ব্যাংকের শীর্ষ পদে ইউনূসকে বসানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী!

ড. ইউনুসের যত অর্থ কেলেঙ্কারি

১৯৭৫ সালের ১৭ মার্চ: যেমন ছিল বঙ্গবন্ধুর জীবনের শেষ জন্মদিনটি

সাজা থেকে বাঁচতে কোটি কোটি টাকা ছাড়তে হচ্ছে ড. ইউনূসকে!

নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে ইইউর সুপারিশ বাংলাদেশে প্রযোজ্য নয়!

ইইউর রিপোর্টে অসঙ্গতি: নির্বাচনের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড নিয়ে বিতর্ক!