বিদেশের শ্রমবাজারে নতুন সম্ভাবনা, চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশিদের

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:১৯, শনিবার, ৪ মার্চ, ২০২৩, ১৯ ফাল্গুন ১৪২৯
  • সুখবর দিয়েছে ইউরোপের ২০টি দেশ।
  • ঢাকায় আসছেন রোমানিয়ার একটি কনস্যুলার প্রতিনিধিদল।
  • ইতালিতেও অনেক বাঙালি থাকেন।
  • চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশি শ্রমিকের।

ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বিদেশে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। চাহিদা বাড়ছে বাংলাদেশি শ্রমিকের। সিন্ডিকেট জটিলতায় সৌদি আরব আর মালয়েশিয়ার বাজার ঝুলে থাকলেও সুখবর দিয়েছে ইউরোপের ২০টি দেশ। ফলে শ্রমবাজারে দেখা দিয়েছে নতুন এক সম্ভাবনা। এরই মধ্যে শ্রমিক পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এসব দেশে। কাতার-কোরিয়ার বাজারেও শ্রম দিতে যাচ্ছেন অনেকে। সম্ভাবনা জাগিয়েছে লিবিয়ার বাজারও।

জানা গেছে, মধ্যপ্রাচ্যের বিকল্প হিসেবে ইউরোপের শ্রমবাজার ধরতে কাজ করছে পররাষ্ট্র ও প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এরই ধারাবাহিকতায় ৫ মার্চ ঢাকায় আসছেন রোমানিয়ার একটি কনস্যুলার প্রতিনিধিদল। তারা ছয় মাস ঢাকায় থাকবেন। এ সময় ১৫ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের এই দেশটি।

এছাড়া গ্রিসে বিনা খরচে বাংলাদেশি কর্মীদের নিরাপদ অভিবাসন ও কর্মসংস্থানের জন্য চুক্তি সই হয়েছে। গ্রিস ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এই সই হয় ২০২২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি, যা ইউরোপের কোনো দেশের শ্রমবাজারে বাংলাদেশি কর্মী নেয়ার প্রথম চুক্তি। এর আওতায় দেশটির কৃষি, পর্যটন ও তৈরি পোশাক খাতে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য পাঁচ বছরের ভিসা সরবরাহ করবে গ্রিস সরকার। প্রতি বছর চার হাজার করে বাংলাদেশি কর্মী যাবেন ভূমধ্যসাগর পাড়ের ইউরোপীয় দেশ গ্রিসে। একই সঙ্গে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য কর্মসংস্থানের দুয়ার খুলেছে বুলগেরিয়া ও মলদোভার শ্রমবাজার।

সম্প্রতি এ প্রসঙ্গে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মনিরুছ সালেহীন বলেন, ইতালিতেও অনেক বাঙালি থাকেন। দেশটিও মৌসুমি শ্রমিক নেয়ার কথা বলেছে। একইভাবে মাল্টাও কর্মী নিতে চেয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশ থেকে শ্রমিক নেয়ার চাহিদা আসছে।

জার্মানির সঙ্গে জিটুজি চুক্তি স্বাক্ষরের চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যনির্ভরতা কাটাতে এরই মধ্যে মলদোভা, সার্বিয়া, যুগোস্লাভিয়া, আলবেনিয়া, ক্রোয়েশিয়া ও মাল্টায় কর্মী পাঠানো শুরু হয়েছে। ইতালিসহ বাকি দেশের সঙ্গে দক্ষ কর্মী নিতে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা, সমঝোতা স্মারক সই ও জিটুজি চুক্তি স্বাক্ষরের জোর চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে সৌদি আরবে শ্রমিক গেছেন ৪২ হাজার ৬৯৭ জন। কিন্তু গত বছর একই সময়ে দেশটিতে ৭১ হাজার ১৭২ জন শ্রমিক গিয়েছিলেন। তুলনামূলক হিসাবে শ্রমিক যাওয়ার হার নেমে এসেছে প্রায় অর্ধেকে। কোম্পানি মালিকের বিরুদ্ধে কর্মীদের নির্যাতনসহ বিভিন্ন অভিযোগ ওঠার পর থেকেই জনশক্তি পাঠানোর ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে সৌদি আরবে। তবে গত বছরের তুলনায় এবার ওমানে শ্রমিক যাওয়ার হার বেড়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে দেশটিতে শ্রমিক গেছেন ১৭ হাজার ৬৯৪ জন।
 

Share This Article


রেমিট্যান্সে শীর্ষে ঢাকা, তারপর চট্টগ্রাম, সিলেট, কুমিল্লা

‘অভিজ্ঞতার আলোকে ব্যাংক একীভূতকরণে নতুন প্রস্তাব গ্রহণ করা হবে’

প্রবাসী আয়ের শীর্ষে ঢাকা, এরপর চট্টগ্রাম সিলেট কুমিল্লা 

ব্রাজিলে তৈরি পোশাকের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার চেয়েছে বাংলাদেশ

কোরবানিতে ব্রাজিল থেকে গরু পাঠানোর অনুরোধ বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর

দক্ষিণ আমেরিকায় বাংলাদেশি পণ্যের বাজার বাড়াতে সাহায্য করবে ব্রাজিল

এবার একীভূত হচ্ছে সিটি ব্যাংকের সঙ্গে বেসিক ব্যাংক

ঈদের আগে আরেক দফা বাড়লো সোনার দাম

বৃদ্ধির পথে রিজার্ভ: বাড়ল ৫১ কোটি ডলার!

ঈদ ঘিরে জমজমাট ভৈরবের জুতাশিল্প, ২০০ কোটি টাকার বাণিজ্যের সম্ভাবনা

পোশাকের নতুন বাজার: আওয়ামীলীগ সরকারের শাসনামলে ১০ গুণ বেড়েছে রপ্তানি!

ঈদে যেসব জায়গায় পাওয়া যাচ্ছে নতুন নোট