গ্রীষ্মে লোডশেডিং কমাতে প্রস্তুত বিদ্যুৎ বিভাগ, শুরু হয়েছে আমদানি
চলছে গ্রীষ্মকাল। সময়ের সঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা, গরমে অতিষ্ঠ হবে জনজীবন। তাই এবারের গ্রীষ্মে লোডশেডিং এড়াতে প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ। নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পরিকল্পনাও। এরই মধ্যে গ্যাস আমদানি শুরু করেছে সরকার। তবে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জ্বালানি আমদানিতে পর্যাপ্ত ডলার প্রয়োজন বলে মনে করছেন বেসরকারি উদ্যোক্তারা।
তথ্যমতে, দেশে এখন দিনে গড়ে বিদ্যুতের চাহিদা ৮ থেকে ১০ হাজার মেগাওয়াটের মধ্যে ওঠানামা করে। গ্রীষ্মকাল সামনে রেখে এটি আরও বাড়বে। ফেব্রুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত বোরো ধানের সেচ মৌসুম।আগামী মে মাসে বিদ্যুতের সর্বোচ্চ চাহিদা ১৬ হাজার মেগাওয়াট হতে পারে বলে ধারণা বিদ্যুৎ বিভাগের।
জানা গেছে, লোডশেডিং কমানোর লক্ষ্যে প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি বাড়াচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে ৮৫০ কোটি টাকায় ৬২ হাজার টন এলএনজি বোঝাই কার্গো গত ২০ ফেব্রুয়ারি দেশে এসেছে। আগামী দুই-এক সপ্তাহে আরেক কার্গো এলএনজি আসার কথা রয়েছে, যা সরবরাহ করবে জাপানের 'জেরা' কোম্পানি। এভাবে জুন পর্যন্ত 'স্পট' থেকে মাসে দুই কার্গো এলএনজি কেনার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরের কূপগুলো নতুন করে খননের পাশাপাশি নতুন নতুন কূপ খননেও গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার।
অন্যদিকে রামপালসহ অভ্যন্তরের কয়েকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নতুন ইউনিটগুলো উৎপাদন শুরু করেছে। এছাড়া আগামী মার্চে আসার কথা রয়েছে ভারতের আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎও। ফলে আসছে গ্রীষ্মে বিদ্যুতের তেমন সংকট হবে না বলে দৃঢ় বিশ্বাস বিদ্যুৎ বিভাগের।
জানা গেছে, এবারের গ্রীষ্মে লোডশেডিং এড়াতে বিদ্যুতের উৎপাদন বাড়াতে হবে ১৬ হাজার মেগাওয়াট পর্যন্ত। সে লক্ষ্য মাথায় নিয়েই প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
সূত্র জানায়, স্পট মার্কেট থেকে ৮ কার্গো এলএনজি আমদানি করা হবে, যা দিয়ে গ্রীষ্মের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
এদিকে এলএনজি আমদানিকে ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে মনে করছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা। এতে জ্বালানি সংকট কাটারও আশা দেখছেন তারা। তাদের মতে, সংকটের সময়ে এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত।এ গ্যাস আনা সম্ভব না হলে কিছুদিনের মধ্যে গ্যাসের সংকট চরম আকার ধারণ করতো। সংকট হতো বিদ্যুৎ সরবরাহেও।