দালালি করে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী
আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশকে আত্মমর্যাদাশীল দেশ হিসেবে গড়ে তুলব। বাধা আসবে, বাধা আসছে। অনেকে সরকার উৎখাত করতে আন্দোলন করছে, আয়োজনও করেছে। দেশে বিদেশে গিয়ে হাহাকার করে বেড়ায়। মনে হয় তাদের দোলনায় চড়িয়ে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। কিন্তু দালালি করে এ দেশে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশের মানুষ অনেক সচেতন।
২২ ফেব্রুয়ারি বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০২৩’ উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি জামায়াতের অগ্নি সন্ত্রাসের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের অগ্নি সন্ত্রাস মানুষ কীভাবে ভুলে যাবে? অগ্নি সন্ত্রাসী যারা এদের সম্পর্কে মানুষকে সজাগ থাকতে হবে। অনেকে আয়োজন করে সরকার উৎখাতের। অনেকে আছে তারা সুসময়ে সরব, অসময়ে নীরব। বাইরে থেকে কেউ কোলে করে ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে এমন স্বপ্নে বিএনপি-জামায়াত বিভোর। দালালি করে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে আওয়ামী লীগকে একটি মিছিল-মিটিংও করতে দেয়নি। আমরা তো সেসবের প্রতিশোধ নিইনি। যারা আগুন নিয়ে খেলে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে মারে, কীভাবে তারা ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখে?
শেখ হাসিনা বলেন, এখন আর বাংলাদেশকে কেউ ভিক্ষুকের জাতি মনে করে না, কারো কাছে হাতপাতা জাতি মনে করে না। তারা এখন বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল মনে করে। বিশ্বে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এখন প্রতিষ্ঠিত।
বিএনপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপির জন্মই হয়েছে অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর হাতে। অবৈধ ক্ষমতা দখলকারীর হাতে যে সংগঠন গড়ে উঠেছে সেটাও তো অবৈধ।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরা দেশের মানুষের জন্য মঙ্গল চায় না। ক্ষমতায় থাকতে তারা দেশটাকে খেয়ে গেছে। আমাদের স্বাধীনতার চেতনাকে ধ্বংস করেছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করে। একটা জাতিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার সবকিছু তারা করেছে।
ভাষা আন্দোলনে জাতির জনকের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনী না প্রকাশ হলে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নামই মুছে ফেলা হতো।
আলোচনা সভার শুরুতে শহীদদের প্রতি সম্মান জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।