হাইস্পিড বুলেট ট্রেনের যুগে বাংলাদেশ !
তিন স্তর দিয়ে ট্রেন চলাচলের যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ। উড়ালপথ দিয়ে চলছে মেট্রো রেল, মাটির ওপর রেল লাইন দিয়ে চলছে ট্রেন ও মাটির নিচ দিয়ে যাবে পাতাল রেল, যার কাজ এখনও চলমান। এরই মধ্যে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চলাচলের সম্ভাব্যতা যাচাই শেষ হয়েছে। শীঘ্রই এর কাজও শুরু হবে।এর হাত ধরে হাইস্পিড বুলেট ট্রেনের যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এ ট্রেন মাত্র ৫৫ মিনিটে রাজধানী ঢাকা থেকে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে পৌঁছে যাবে। আর বিরতি দিয়ে চললে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পৌঁছাতে সময় লাগবে ৭৩ মিনিট। ট্রেনের গতি হবে ঘণ্টায় ৩০০ কিলোমিটার। সে পরিকল্পনা নিয়েই এগোচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ২০২৪ সালের মধ্যে এর কাজ শেষ হওয়া কথা রয়েছে।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, বুলেট ট্রেন চলাচলের জন্য ঢাকা থেকে কক্সবাজার পর্যন্তও প্রায় সাড়ে তিনশ কিলোমিটার উড়াল রেলপথ নির্মাণ করা হবে। পথে থাকবে ৬টি অত্যাধুনিক রেলস্টেশন, যা দেখতে অনেকটা মেট্রোরেলের স্টেশনগুলোর মতোই হবে। বিদ্যুৎচালিত রেলপথটি হবে পাথরবিহীন। এর হাত ধরে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন দিগন্ত উন্মুচিত হবে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
ইতোমধ্যে বুলেট ট্রেন প্রকল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে চীনের দুই প্রতিষ্ঠান। যারা প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রস্তাব দিয়েছে জিটুজি ও পিপিপির মাধ্যমে। প্রস্তাব অনুযায়ী, চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন করপোরেশন -সিআরসিসি ও চায়না সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন করপোরেশন-সিসিইসিসি যৌথভাবে একটি কোম্পানি গঠন করে রেলপথটি নির্মাণ করবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ঋণের সংস্থান ও রেলপথটি নির্মাণের দায়িত্ব নেবে প্রস্তাবিত কোম্পানি। ঋণ পরিশোধ করবে বাংলাদেশ রেলওয়ে। পাঁচ বছর রেলপথটি পরিচালনার পর তা বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হবে।
এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা থেকে দিনাজপুর পর্যন্ত আরও ৩৩০ কিলোমিটার পথে নতুন হাইস্পিড বুলেট ট্রেন চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের।
গত ৪ ফেব্রুয়ারি দিনাজপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে এ তথ্য দিয়েছেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম এমপি। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর আগামী ২০২৭ সালের মধ্যে দিনাজপুর থেকে ঢাকায় বুলেট ট্রেন চালু হবে বলেও জানান তিনি।