শ্যালিকাকে দুবাই পাচারের চেষ্টা দুলাভাইয়ের
স্ত্রীকে দুবাই নিয়ে বিক্রির পর শ্যালিকাকেও পাচারের চেষ্টার সময় আটক দুলাভাই।
রাজধানীর মিরপুর থেকে অপহৃত এক মাদরাসাছাত্রীকে উদ্ধার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। শনিবার চট্টগ্রামের সাতকানিয়া নলুয়া ইউনিয়নের একটি বাড়ি থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণের ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চট্টগ্রামের হাটহাজারী ফরহাদাবাদ এলাকার আবু সুফিয়ান রানা (৩১) ও তার স্ত্রী শারমিন কাওসার হান্না (২২) এবং হাটহাজারীর চিপাতলী এলাকার নুরুজ্জামান।
র্যাব জানায়, ভুক্তভোগী মাদ্রাসাছাত্রীর বড় বোনের সঙ্গে দুবাই প্রবাসী মো. শহিদুল করিমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর শহিদুল স্ত্রীকে দুবাই নিয়ে বিক্রি করে দেন। এরপর তিনি শ্যালিকাকে দুবাই পাচারের পরিকল্পনা করেন। গত ৩ জানুয়ারি ভুক্তভোগী ছাত্রী মাদরাসায় যাওয়ার পথে অপহৃত হয়। তার পরিবার খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারে এ ঘটনায় শহিদুল জড়িত। পরে ভুক্তভোগীর মা রাজধানীর শাহ আলী থানায় শহিদুলসহ তিনজনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলার পর আসামিদের গ্রেফতারে মাঠে নামে র্যাব। এক পর্যায়ে অপহরণের ঘটনায় জড়িত দুজনের অবস্থান চট্টগ্রাম নগরের হালিশহর থানা এলাকায় শনাক্ত হয়। শুক্রবার রাতে হালিশহরের চৌধুরী পাড়ার একটি বাসা থেকে আবু সুফিয়ান রানা ও তার স্ত্রী শারমিন কাওসার হান্নাকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যে শনিবার ভোরে হাটহাজারীর চিপাতলী এলাকা থেকে নুরুজ্জামানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে নুরুজ্জামানের দেওয়া তথ্যে সাতকানিয়ার নলুয়া ইউনিয়ন থেকে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে উদ্ধার করে র্যাব।
চট্টগ্রাম র্যাবের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, আসামিরা অসহায় নারীদের ভালো চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে দুবাই পাচার করে। ভুক্তভোগী ছাত্রীকে সেখানে পাচারের উদ্দেশ্যে তারা অপহরণ করে। এজন্য ঐ ছাত্রীকে চট্টগ্রাম ও আশপাশের বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। গ্রেফতারকৃত তিনজনকে রাজধানীর শাহ আলী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
