সংকট কাটিয়ে ক্রমান্বয়ে বাড়বে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি
বিশ্বজুড়ে উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও প্রবৃদ্ধি মন্থর হওয়ায় চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে যাবে। তবে পরবর্তী অর্থবছরগুলোতে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অব্যাহতভাবে বাড়বে এবং ক্রমান্বয়ে বর্তমান সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)।
আইএমএফ সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তাতে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সূচক আকারে তুলে ধরা হয়। এতে দেখা যায়, ২০২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হবে ৭.২ শতাংশ। আর পূর্বাভাস অনুযায়ী ২০২৩ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে হবে ৫.৫ শতাংশ। ২০২৪ অর্থবছরে আবার বেড়ে হবে ৬.৫ শতাংশ এবং ২০২৫ অর্থবছরে আরো বেড়ে হবে ৭.১ শতাংশ।
এতে আরো দেখা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ভোগ দাঁড়াবে জিডিপির ৭.৬ শতাংশ, সরকারি খাতে মাইনাস ৭.৫ শতাংশ। গ্রোজ ক্যাপিটাল ফরমেশন বা মোট মূলধন গঠন দাঁড়াবে জিডিপির মাইনাস ৬.২ শতাংশ। এর মধ্যে বেসরকারি খাতে মাইনাস ১১.৭ শতাংশ এবং সরকারি খাতে ১১.০ শতাংশ। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ভোক্তা মূল্যসূচক দাঁড়াবে ৮.১ শতাংশ। আমদানি-রপ্তানি প্রবৃদ্ধিও থাকবে ঋণাত্মক।
এদিকে বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সুখবর দিয়েছে আইএমএফ। গত বছর বিভিন্ন বৈশ্বিক সংস্থাই বলেছিল, ২০২৩ সালে উন্নত দেশগুলোতে মন্দা হবে। বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধির হারও অনেকটা কমবে। তবে শেষমেশ সেই আশঙ্কা নাকচ করে গত এক বছরের মধ্যে এই প্রথম বৈশ্বিক পূর্বাভাস বৃদ্ধি করেছে সংস্থাটি।
গত সোমবার প্রকাশিত আইএমএফের জানুয়ারি মাসের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাসের হালানাগাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি ২০২৩ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে ২.৯ শতাংশ। এর আগে গত অক্টোবর মাসে তাদের পূর্বাভাসের চেয়ে এটা শূন্য দশমিক ২ শতাংশীয় পয়েন্ট বেশি। কিন্তু তা সত্ত্বেও ২০২২ সালের সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধির চেয়ে তা কম। ২০২২ সালে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩.৪ শতাংশ।
তবে আইএমএফ বলছে, চলতি বছর প্রবৃদ্ধির নিম্নগতি একদম শেষ পর্যায়ে পৌঁছবে এবং এরপর তা আবার বাড়তে থাকবে। ২০২৪ সালে প্রবৃদ্ধি হতে পারে ৩.১ শতাংশ।