ইরানের ওপর যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য ও ইইউ’র নতুন নিষেধাজ্ঞা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৩৩, মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ১০ মাঘ ১৪২৯

ইরানে ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। সোমবার ইরানে সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর তীব্র দমনপীড়নের প্রতিক্রিয়ায় এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

 

যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য ছিল ইরানের প্রভাবশালী বিপ্লবী রক্ষীবাহিনী (আইআরজিসি) ও বিক্ষোভ দমনের দায়িত্বে থাকা শীর্ষ কর্মকর্তারা। তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আইআরজিসি কোঅপারেটিভ ফাউন্ডেশন ও এর পরিচালনা পর্ষদের ৫ সদস্যের ওপর; ইরানের গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপমন্ত্রী নাসের রাশেদি এবং আইআরজিসির ৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাও তাদের কালো তালিকায় ঢুকেছে।

যুক্তরাজ্যও ইরানি জনগনের ওপর ‘নির্মম নিপীড়ন’ চালানোর অভিযোগে একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

যুক্তরাজ্যও সোমবার ইরানি জনগনের ওপর ‘নির্মম নিপীড়ন’ চালানোর অভিযোগে একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাজ্যে ইরানের সহকারী প্রসিকিউটর জেনারেল আহমাদ ফাজেলিয়ানে কোনো সম্পদ থেকে থাকলে, তা জব্দ হবে। অন্যায্য বিচার ব্যবস্থা, যেখানে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মৃত্যুদণ্ডকে ব্যবহার করা হয়, তার জন্য ফাজেলিয়ানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর।

সোমবার যুক্তরাজ্য যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাদের মধ্যে আরও আছে ইরানের স্থলবাহিনীগুলোর কমান্ডার কিউমারস হাইদারি, আইআরজিসির ডেপুটি কমান্ডার হোসেইন নেজাত।

বাসিজ প্রতিরাধ বাহিনী এবং এর ডেপুটি কামন্ডার সালার আবনুশ, বাসিজ মিলিশিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাসিজ কোঅপারেটিভ ফাউন্ডেশন এবং ইরানের আইন প্রয়োগকারী বাহিনীর ডেপুটি কমান্ডার কাসেম রেজাই-র নামও এই তালিকায় ঢুকেছে।

সম্প্রতি ইরানে মাহসা আমিনির মৃতু্যকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভকারীদের ওপর ‘বর্বর’ নিপীড়ন চালানো এবং অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় দিয়ে বিপ্লবী রক্ষীবাহিনীর কিছু ইউনিটসহ ৩০ এর বেশি ইরানি কর্মকর্তা ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ইইউ’র নতুন নিষেধাজ্ঞায় ১৮ ব্যক্তি ও ১৯টি প্রতিষ্ঠান পড়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া কর্মকর্তারা ইইউ-তে যেতে পারবেন না, ইইউ-তে থাকা তাদের সম্পদও জব্দ হতে পারে।

মাহসা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ইরান যে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ দেখছে, তাকে ১৯৭৯ সালে ইসলামে বিপ্লবের পর দেশটির শাসকগোষ্ঠীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বলা হচ্ছে। তেহরান এ অস্থিরতা উসকে দেওয়ার জন্য পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠীকে দুষছে।

Share This Article


ইরানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার দাবি ইসরায়েলের

‘আর দেরি নয়, ইরানকে এখনই থামাতে হবে’

শান্তির খোঁজে দলাই লামার দ্বারস্থ হলেন কঙ্গনা

উড়োজাহাজ চলাচল নিয়ে বিপাকে এয়ারলাইনসগুলো

ইসরায়েলে ইরানের হামলা: উত্তপ্ত মধ্যপ্রাচ্য, উদ্বেগে বিশ্ব

যে কারণে সঞ্চয় কমেছে মার্কিনদের

ব্রাজিল উপকূলে নৌকায় মিলল পচনশীল ২০টি মরদেহ

ইরানি ড্রোন প্রতিহতে ইসরায়েলকে সহায়তা করেনি সৌদি

সিডনিতে গির্জায় হামলা ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড’ ছিল: পুলিশ

ইরানের হামলার জবাব দেওয়া হবে: ইসরায়েল সেনাবাহিনী প্রধান

খেলা শেষ? ইরানে হামলায় যুক্তরাষ্ট্রকে ঘাঁটি ব্যবহারে না

ইরানের পরমাণু চুল্লিতে হামলা করতে পারে ইসরায়েল