পোশাক রপ্তানিতে জাপানের বাজারে বড় সাফল্য

জুরি বৃদ্ধি এবং করোনা সংক্রমণের কারণে অনেক জাপানি বায়ার চীন থেকে সরে আসছে। এর কিছু অর্ডার বাংলাদেশেও এসেছে। আশা করা হচ্ছে ২০৩০ সাল নাগাদ এক সময়ের অপ্রচলিত এই বাজারেই বর্তমানের চেয়ে ১০ গুণ তৈরি পোশাক রপ্তানি হবে
কয়েক মাস ধরে জাপানের বাজারে যে গতিতে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে তাতে আশায় বুক বাঁধছেন দেশের গার্মেন্ট উদ্যোক্তারা। ইউরোপ-আমেরিকার মতো গতানুগতিক বাজারের পাশাপাশি নতুন এই মার্কেটে নিজেদের ভবিষ্যৎ দেখছেন তারা।
বাংলাদেশ থেকে ২০২১ সালে ১০২ কোটি ৯১ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করা হয়েছে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপানে। এক বছরের ব্যবধানে রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩২ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এ সময় প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২৯ শতাংশ, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় সাড়ে ৪২ শতাংশ বেশি।
ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড সেন্টারের (আইটিসি) তথ্য বলছে, ২০২১ সালে জাপানের তৈরি পোশাকের বাজার ছিল ২৩.৮৩ বিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে চীনের দখলে ছিল ৫৮.৩২ শতাংশ। এর পরের তিন দেশ ভিয়েতনাম, বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়া দখলে ছিল যথাক্রমে ১৪.৪৯, ৪.৮৯ ও ৪.৬৪ শতাংশ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ‘মজুরি বৃদ্ধি এবং করোনা সংক্রমণের কারণে অনেক জাপানি বায়ার চীন থেকে সরে আসছে। এর কিছু অর্ডার বাংলাদেশেও এসেছে। আশা করা হচ্ছে ২০৩০ সাল নাগাদ এক সময়ের অপ্রচলিত এই বাজারেই বর্তমানের চেয়ে ১০ গুণ তৈরি পোশাক রপ্তানি হবে।