ব্যাটিংয়ে শীর্ষে সাকিব, বোলিংয়ে ওয়াহাব

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:০৪, শনিবার, ২১ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭ মাঘ ১৪২৯

মাঠে নামলেই রানের ফোয়ারা। চার-ছক্কার ফুলঝুরি। এবারের বিপিএলে সাকিব আল হাসানের ব্যাটিং পারফরম্যান্সকে ব্যাখ্যা করতে এই দুই লাইনই যথেষ্ট।

কেন হবে না? সাকিব যে ব্যাট হাতে উড়ছেন ডানা মেলে। ৯১.৬৬ গড়ে ব্যাটিং করছেন। সঙ্গে স্ট্রাইক রেট ১৯৬.৪২। বিপিএলে ৬ ম্যাচে ৫ ইনিংসে সাকিব ১৪০ বল খেলেছেন। রান করেছেন ২৭৫। যা চট্টগ্রাম পর্ব শেষে সর্বোচ্চ। নামের পাশে ৩ ফিফটি। সর্বোচ্চ রান ৮৯ অপরাজিত। সর্বোচ্চ ৩০ চারের সঙ্গে ১৫টি ছক্কা। তার থেকে কেবল ৩টি ছক্কা বেশি মেরেছেন পাকিস্তানের ইফতেখার আহমেদ।

 

তাকে নিয়ে নাজমুল আবেদীন ফাহিম স্রেফ একটা কথাই বললেন,‘সাকিব পিক টাইমে আছে।’

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের এই দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের মতোই উজ্জ্বল নাসির হোসেন। সাকিবের চেয়ে কেবল ৬ রানে পিছিয়ে নাসির। ঢাকা ডমিনেটর্স ছয় ম্যাচে মাত্র একটি জিতেছে। হেরেছে পাঁচটিতেই। সেই দলের অধিনায়ক হয়ে নাসিরের এমন ধারাবাহিকা চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে সবাইকে। ব্যাটিং গড় ৮৯.৬৬। স্ট্রাইক রেট ১৩১.২১। ফিফটি দুইটি। বিপিএল শুরুর আগে তাকে নিয়ে কোনো আলোচনাই হয়নি। অথচ ডানহাতি ব্যাটসম্যান সকল প্রতিকূলতা পেছনে ফিরে একটা বার্তাই দিয়েছেন,‘আমি হারিয়ে যাইনি।’

এছাড়া চট্টগ্রাম পর্ব শেষে দুইশর বেশি রান করেছেন ইফতেখার আহমেদ ও উসামন খান। দুজনই পাকিস্তানি। দুজনই হাঁকিয়েছেন সেঞ্চুরি। সাকিবের সতীর্থ ইফতেখার ২৫৬ ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের উসমান ২০৮ রান করেছেন। ব্যাটিংয়ে স্থানীয় খেলোয়াড় শীর্ষে থাকলেও বোলিংয়ে স্থানটি দখল করেছেন বিদেশিরা।

খুলনা টাইগার্সের পেসার ওয়াহাব রিয়াজ ৫ ম্যাচে ১১ উইকেট পেয়েছেন। ১৯.৩ ওভারে ১২৭ রানের খরচে, ১১.৫৪ গড় ও ৬.৫১ ইকোনমিতে পেয়েছেন এ সাফল্য। ৪ উইকেটই আছে দুটি। মূলত তার পেস আক্রমণের নেতৃত্বে শেষ দুই ম্যাচে খুলনা বোলিংয়ে ভালো করেছে এবং ম্যাচ জিতেছে।

১ ম্যাচ বেশি খেলা মাশরাফি বিন মুর্তজা ৯ উইকেট নিয়ে আছেন দ্বিতীয় স্থানে। সিলেট স্ট্রাইকার্সের অধিনায়ক ২০ ওভারে ১৩৫ রানের খরচে এ সাফল্য পেয়েছেন। যেখানে তার বোলিং গড় ১৫ এবং ইকোনমি ৬.৭৫। এছাড়া ৮ উইকেট পেয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের স্পিনার তানভীর ইসলাম। বাঁহাতি এ স্পিনারের ঘূর্ণিতে কুমিল্লা চট্টগ্রাম পর্বে খুব ভালো পারফর্ম করেছে।

এখানে ৬ দিনে মোট ম্যাচ হয়েছে ১২টি। ঢাকার মতো শুরু থেকে রান হয়নি। তবে শেষ কয়েকটি ম্যাচে রান হয়েছে অবারিত। তাতে লড়াই জমে উঠেছে। দর্শকরাও পেয়েছেন আনন্দ। চট্টগ্রামে সেঞ্চুরি হয়েছে কেবল একটি। সেটাও পাকিস্তানি ইফতেখার আহমেদের ব্যাটে। ডানহাতি ব্যাটসম্যান চার-ছক্কার বৃষ্টি নামিয়ে ৪৫ বলে করেন ১০০ রান। এছাড়া সাকিবের ৪৩ বলে ৮৯ রানের ইনিংসটিও ছিল বিস্ফোরক। সেদিন ১৯২ রানের জুটি গড়েছিলেন। যা পঞ্চম উইকেটে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে জুটির বিশ্ব রেকর্ড।

ঢাকায় বিপিএলের শুরুতে বিতর্ক থাকলেও চট্টগ্রামে তেমন কিছু হয়নি। আম্পায়ারের দুয়েকটি সিদ্ধান্ত এদিক-সেদিক হওয়া বাদে সবমিলিয়ে খেলার মান ভালো ছিল। 

বিষয়ঃ বিপিএল

Share This Article