সাকিবের প্রশংসায় পঞ্চমুখ এই পাকিস্তানি

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:১৬, শুক্রবার, ২০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬ মাঘ ১৪২৯

মাত্র ৪৬ রানে পড়ে যায় ৪ উইকেট, তারপরই দুজনে মিলে গড়েছেন ১৯২ রানের রেকর্ড জুটি। পঞ্চম উইকেটে টি-টোয়েন্টিতেই সর্বোচ্চ রানের জুটি গড়েন ইফতেখার আহমেদ ও সাকিব আল হাসান। বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রামে এই জুটি গড়ার পথে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিও পেয়েছেন ইফতেখার।

 

৬টি চার ও ৯টি বিশাল বিশাল ছক্কায় সাজানো বিস্ফোরক ইনিংসে ৪৫ বলে সই ১০০ রান করেন ইফতেখার। সাকিবও ছিলেন কাছাকাছিই, ৪৩ বলে ৮৯ রান করেন তিনি। তাদের জুটিতে ভর করেই রংপুর রাইডার্সকে হারিয়ে দেয় ফরচুন বরিশাল।

এরপর সংবাদ সম্মেলনে এসে সাকিবকে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন ইফতেখার। টাইগার তারকার ব্যাটিং দেখেছেন কাছ থেকেই। অধিনায়ক সাকিবের অধীনেও খেলেছেন বেশ কয়েকবার। বাংলাদেশি তারকাকে তাই ভালোই চেনা ইফতেখার।

সাকিবের নেতৃত্ব নিয়ে তাই বলেছেন, ‘সাকিব অসাধারণ অধিনায়ক। আমি অনেকের সঙ্গেই খেলেছি...তার অধীনেই সর্বশেষ টি-টেনেও খেললাম। তিনি ক্রিকেটারদের যেভাবে অনুপ্রাণিত করেন, আমার মনে হয়, খেলোয়াড়দের এমন সমর্থন করা অধিনায়ক খুব কমই আছেন। আমাদের সঙ্গে জুনিয়র ক্রিকেটার আছে, ভুল তো হয়ই, ভুল না হলে তো তিনি মানুষ নন। তাদের এত এত সমর্থন করেন সাকিব। এমনকি তাদের বলেন, তোমাদের ইচ্ছে মতো করো সবকিছু, বলো তোমরা কোথায় ফিল্ডিং করতে চাও।’

সেঞ্চুরি করার পেছনে সাকিবের সমর্থন ছিল বেশ ভালোভাবেই- এমন কথাও জানিয়েছেন ইফতেখার। পাকিস্তানি এই ব্যাটার বলেন, ‘সত্তরের ঘরে থাকতেই বলেছেন (সেঞ্চুরির কথা)। ওই সময় আমি সাকিব ভাইকে বলি যে, সেঞ্চুরি করতে চাই, স্ট্রাইকে বেশি থাকলে ভালো হয়। তখন উনি বলেন, আমি সমর্থন দিচ্ছি, তুমি সেঞ্চুরির চেষ্টা চালাও।’

সাকিবের সঙ্গে নিজের জুটির রেকর্ডের কথা কি জানতেন? এমন প্রশ্নে ইফতেখার বলেন, ‘এটা তো জানতাম না। এটা তো অনেক খুশির সংবাদ।’

মাত্র ৪৫ বলে সেঞ্চুরি, এটাই ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস কি-না এমন প্রশ্নে ইফতেখারের জবাব, ‘এমনটা না। এর আগেও ভালো ভালো ইনিংস খেলেছি। কিন্তু এটা আমার জীবনের অন্যতম সেরা ইনিংস। আমি নিজে এটা উপভোগ করেছি। কারণ দল খুব বাজে অবস্থায় ছিলো, দলের চার ব্যাটার আউট হয়ে গিয়েছিলো। দল জিতেছে, এটাই সবচেয়ে বড় কথা।’

সাকিব যে কেবল সতীর্থের প্রশংসায় ভাসছেন, তা কিন্তু নয়। নিজেও করে চলেছেন অনবদ্য পারফরম্যান্স। তাইতো রান সংগ্রাহকের তালিকার সবার উপরে তারই নাম। মাত্র চার ইনিংসে ব্যাট করে তিন ফিফটিতে ১২২ গড়ে করেছেন ২৪৫ রান। যেখানে তার স্ট্রাইকরেটও ঈর্ষনীয়, দুইশ ছুঁইছুঁই (১৯৯.১৮)।

চলতি বিপিএলে টোটাল ইমপ্যাক্টেও ধরাছোঁয়ার বাইরে সাকিব। ব্যাট হাতে অনন্য নৈপুণ্য দেখানোর পাশাপাশি বল হাতে মাত্র ৩টি উইকেট নিলেও সব মিলিয়ে প্রভাব বিস্তারকারী হিসেবে তার পয়েন্ট এখন ৪৬৫.৫১। ২৯৯.৫৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থনে আছেন আরেক অলরাউন্ডার ও ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসাইন।  

এদিকে, এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচ খেলে চার জয় নিয়ে সিলেটের পরেই অবস্থান করছে সাকিবের বরিশাল। ছয় ম্যাচে পাঁচ জয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে যথারীতি শীর্ষে মাশরাফির দল। তিনে থাকা কুমিল্লার পয়েন্ট ৬। অন্যদিকে, রংপুর ও চট্টগ্রামের পয়েন্ট সমান ৪।

বিষয়ঃ বিপিএল

Share This Article