বিচারককে গালাগাল : ভিডিও অপসারণের নির্দেশ হাইকোর্টের

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৩২, মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩, ৩ মাঘ ১৪২৯

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুককে গালাগালের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে অপসারণ করতে বিটিআরসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

 

মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একইসঙ্গে এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) মো. আক্কাস আলী ও আইনজীবী জুবায়ের ইসলামের ব্যাখ্যা এবং আদালত অবমাননার রুলের ওপর শুনানির জন্য আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।

এ দিন আদালতে হাজির হয়ে ওই ঘটনার ব্যাখ্যা দেন এই তিন আইনজীবী। এ ছাড়া ঘটনার ভিডিও অপসারণের নির্দেশনা চেয়ে আবেদন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মোমতাজ উদ্দিন ফকির।

গত ৫ জানুয়ারি একই আদালত এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এই তিন আইনজীবীকে তলব করেন। এ ছাড়া তাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার জন্য কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুলও জারি করেন হাইকোর্ট।

এ ছাড়া গত ১০ জানুয়ারি এ ঘটনায় আরও ২১ আইনজীবীকে তলব করেন হাইকোর্ট। তাদেরকে আগামী ২৩ জানুয়ারি আদালতে হাজির হয়ে ঘটনার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, এজলাসে হট্টগোলের অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতিসহ অন্য আইনজীবীদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার ব্যবস্থার দাবি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল বরাবর চিঠি পাঠান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুক। 

প্রধান বিচারপতির কাছে সেই চিঠি উপস্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল। প্রধান বিচারপতি চিঠিটি বিচারপতি জে বি এম হাসানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে পাঠালে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) মোহাম্মদ ফারুকের পাঠানো চিঠিতে বলা হয়, গত ২ জানুয়ারি আদালতের এজলাসে এসে দৈনিক কার্যতালিকা অনুযায়ী নির্ধারিত মামালাগুলো শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।

এ সময় বার সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. তানভীর ভূঞা, সম্পাদক (প্রশাসন) অ্যাডভোকেট মো. আক্কাস আলী ও অ্যাডভোকেট জুবায়ের ইসলামসহ ১০ থেকে ১৫ জন আইনজীবী এসে অশালীন ও অসৌজন্যমূলকভাবে তাকে এজলাস থেকে নেমে যেতে বলেন। এ ছাড়া আদালতের উদ্দেশে উচ্চস্বরে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন অ্যাডভোকেট মো. তানভীর ভূঞা।

ওই সময় এজলাসে উপস্থিত ছিলেন কোর্ট পরিদর্শক ও নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্য, কর্মচারী ও বিচারপ্রার্থী সাধারণ মানুষ। তাদের মধ্যে কোনো একজনের ধারণ করা ঘটনার ভিডিও নিজের কাছে রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন ওই বিচারক।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article


সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার ২ জনের যাবজ্জীবন

সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় আজ

সাজা থেকে বাঁচতে কোটি কোটি টাকা ছাড়তে হচ্ছে ড. ইউনূসকে!

রোজায় স্কুল বন্ধ থাকবে কি না, আপিল বিভাগে শুনানি শুরু

রোজায় বিদ্যালয় বন্ধ রাখার আদেশ বহাল

ধর্ষণকাণ্ডে ছাত্রলীগ নেতাসহ ৭ জনকে শাস্তি দিল জাবি

মেজ মেয়েকেও নিজের জিম্মায় নিতে জাপানি মায়ের আপিল

সুপ্রিম কোর্টে মারামারি: ব্যারিস্টার কাজল চার দিনের রিমান্ডে

চাঁদাবাজির মামলায় তিন ভাইয়ের কারাদণ্ড

জামিন পেলেন বিএনপি নেতা মেজর হাফিজ

রোজায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্কুল বন্ধ থাকবে: হাইকোর্ট

সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি খোকন, সম্পাদক মঞ্জুরুল