যে কারণে মাঠ হারাতে পারেন মেসি-এমবাপ্পেরা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:৩১, রবিবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩, ১ মাঘ ১৪২৯

মালিকানাসংক্রান্ত জটিলতায় মাঠ হারাতে বসেছে পিএসজি। প্যারিসের মেয়র কোনোভাবেই পিএসজি কর্তৃপক্ষের কাছে পার্ক দে প্রিন্সেস বিক্রি করতে রাজি নন। এমনটি জানিয়েছে, ইউরোপীয় একাধিক সংবাদ মাধ্যম।

 

ক্লাব হিসেবে ১৯৭০ সালে যাত্রা শুরু করে পিএসজি। যেখানে ৪ বছর পর ৪৭ হাজার আসনের এই মাঠ ব্যবহার করে আসছে প্যারিসের দলটি।

এ নিয়ে ইএসপিএনের এক প্রতিবেদন বলা হয়, প্যারিসের মেয়র আন্নে হিডালগো ক্লাবের কাছে মাঠটি বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। ২০১১ সালে নাসের আল–খেলাইফি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এই মাঠের অবকাঠামো উন্নয়নে অনেক অর্থ ব্যয় করেছে পিএসজি।

কিন্তু এই মুহূর্তে মাঠ ছাড়তে হলে পিএসজিকে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হতে পারে। ফলে যেকোনো মূল্যে মাঠটিকে ধরে রাখতে চায় তারা। জানা যায়, এই স্টেডিয়াম সংস্কার করতে নাকি ৫০ কোটি ইউরো খরচ হবে পিএসজির। আর ক্লাবটি কিনে নেওয়ার অনুমতি পেলে এই কাজে অর্থায়ন করতে চায় পিএসজি কর্তৃপক্ষ। তবে সে প্রস্তাবও নাকি ফিরিয়ে দিয়েছেন হিডালগো।

দুই পক্ষ বিভিন্ন সময়ে মাঠ কেনাবেচা নিয়ে দর–কষাকষি করেছে। তবে কোনো ধরনের সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয় তারা। এখন শোনা যাচ্ছে, হিডালগো বেচাকেনার সম্ভাবনার সব দুয়ারই বন্ধ করে দিয়েছেন।

হিডালগো এ বিষয়ে বলেন, ‘আমাদের অবস্থান খুবই পরিষ্কার। পার্ক দে প্রিন্সেস বিক্রির জন্য নয় ও এটা কখনো বিক্রি করা হবে না। এটাই চূড়ান্ত অবস্থান। এটা প্যারিসবাসীর অনন্যসাধারণ এক ঐতিহ্য।’

অন্যদিকে পিএসজির মুখপাত্র বলেন, ‘প্যারিসের মেয়র যে অবস্থান গ্রহণ করেছেন, সেটা বিস্ময়কর ও হতাশার। পিএসজি ও পার্ক দে প্রিন্সেস প্যারিসের গর্বিত ঐতিহ্যের অংশ। পিএসজি এর মধ্যে স্টেডিয়ামের রক্ষণাবেক্ষণে ৮ কোটি ৫০ লাখ ইউরো ব্যয় করেছে। সমর্থকদের জন্য অতিরিক্ত ৫০ কোটি ইউরো খরচ করতেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, যা পিএসজিকে সমৃদ্ধ করতে ও ইউরোপের শীর্ষ পর্যায়ের অন্য ক্লাবগুলোর সঙ্গে লড়াই করতে সাহায্য করবে। আর অবশ্যই এই বিনিয়োগ তখন করা হবে, যখন পিএসজি আক্ষরিক অর্থে এই পার্ক দে প্রিন্সেসের মালিকানা পাবে।’

বিষয়ঃ ফিফা

Share This Article