চালু হচ্ছে দ্রুতগতির ট্রেন, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম যাওয়া যাবে মাত্র ৫৫ মিনিটে !
আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ শেষ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ঢাকা-চট্টগ্রাম দ্রুতগতির ট্রেন চালুর প্রকল্পটি।
দ্রুতগতির এ ট্রেন চালু হলে ঢাকা-চট্টগ্রামের মধ্যে নিরবচ্ছিন্ন যাত্রায় সময় লাগবে মাত্র ৫৫ মিনিট। ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার গতিতে চলতে সক্ষম ট্রেনগুলো প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার যাত্রী পরিবহন করতে পারবে।
রেল মন্ত্রণালয় সূত্র মতে, যাত্রী ও পণ্য পরিবহনের জন্য মোট ১১ সেট ট্রেন কেনা হবে। এসব ট্রেন প্রতিদিন ৫২ বার ঢাকা-চট্টগ্রাম আসা-যাওয়া করবে। বৈদুতিক এ ট্রেনের জন্য ছয়টি সাবস্টেশন নির্মাণ করা হবে।
প্রস্তাবিত দ্রুতগতির এলিভেটেড রেলরুটের দৈর্ঘ্য হবে ২২৪.৬ কিলোমিটার। অর্থাৎ পুরো রেলপথটি হবে উড়ালপথে। মোট স্টেশন হবে পাঁচটি। তিনতলাবিশিষ্ট স্টেশনগুলোতে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধা থাকবে।
রাজধানীর কমলাপুরে প্রথম স্টেশনটি নির্মাণ করা হবে মাল্টিমডেল রেল হাবে।তবে দ্রুতগতির এ ট্রেনের প্রধান স্টেশনটি হবে নারায়ণগঞ্জে, যেখানে রেলগাড়িগুলো রাখার জন্য ডিপোও থাকবে। অন্য স্টেশনগুলো হবে কুমিল্লা, ফেনী ও চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে। এ জন্য নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা, গোমতী, মেঘনা ও ফেনী নদীর ওপর আলাদা রেলসেতুও নির্মাণ করা হবে।
উল্লেখ্য , ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-কুমিল্লা-চট্টগ্রাম রুটে দ্রুতগতির ট্রেন চালু করতে ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার। এটি যোগাযোগ অবকাঠামো খাতে দেশের সবচেয়ে বেশি ব্যয়ের এবং সবগুলো উন্নয়ন প্রকল্পের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যয়ের প্রকল্প। ইতোমধ্যে প্রকল্পের সম্ভাব্য সমীক্ষা যাচাই শেষ। শ্রীঘ্রই কাজ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। এ খাতে অর্থায়নের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক।