২০২৩: অর্থনৈতিক শক্তি পরীক্ষার বছর!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:১৫, শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩, ৩০ পৌষ ১৪২৯

মন্দার কাছাকাছি পৌঁছে গেছে বিশ্ব অর্থনীতি। নানা ধরনের ঝুঁকিতে অবস্থা বিপজ্জনক। সম্প্রতি ২০২৩ সালের অর্থনীতি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) একটি ঝুঁকি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ঋণসংকট, উচ্চ পণ্যমূল্যের ধাক্কা, মানবসৃষ্ট পরিবেশগত ক্ষতি ও সম্পদের জন্য ভূরাজনৈতিক প্রতিযোগিতার ঝুঁকিতে রয়েছে  বাংলাদেশ।তবে  দেশটি এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে ইতিমধ্যে।

 

এ বিষয়ে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. নাজনীন আহমেদ বলেছেন, ‘আমাদের দেশের অর্থনীতি নিয়ে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) যে ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করেছে, তা ইতোমধ্যে আলোচিত চ্যালেঞ্জ। নতুন বিষয় নয়। কয়েক মাস ধরে গণমাধ্যম, অর্থনীতিবিদ ও সংশ্লিষ্টরা এসব চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করছেন। এসব চ্যালেঞ্জ ঘিরে সরকার বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগও নিয়েছে।’

ড. নাজনীন আহমেদ  বলেন, ‘সব দিক মিলে ২০২৩ সাল একটা  চ্যালেঞ্জের বছর। বাংলাদেশের জন্য, সারা দুনিয়ার জন্যও। তবে বাংলাদেশের জন্য অর্থনৈতিক শক্তি পরীক্ষার বছর এটি। দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা কতটা শক্তিশালী তা পরীক্ষার বছর। যে কারণেই হোক এসব সংকট আমরা মোকাবিলা করছি। ডলারের দাম বাড়ছে। আমদানি ব্যয়ও বাড়ছে। ফলে উচ্চমূল্যের কারণে মূল্যস্ফীতি সহজে নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না।’

তিনি বলেন, ‘সংস্থাটি যেসব ঝুঁকির কথা বলছে, কয়েক মাস ধরে আমরা নিজেদের মধ্যে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি। সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপও এগুলো কেন্দ্র করেই। বিভিন্ন জায়গায় সরকারের ব্যয় কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে।  আমাদের প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন ২০২৩ সালে সতর্কতার সঙ্গে চলতে হবে। আবার বিশ্বজুড়ে বিশেষ করে যেসব দেশে আমাদের পণ্য রপ্তানি হয় সেই ইউরোপ, আমেরিকায়ও মন্দা চলছে।’

তাই ২০২৩ সালে সরকারি-বেসরকারি খাত মিলে এ আশঙ্কাগুলো মাথায় রাখতে হবে।যার যতটুকু সম্ভব কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে হবে। আমদানী ব্যয় বৃদ্ধির কারণে গেল বছরের মার্চ থেকেই আমাদের পণ্যমূল্য বেড়েছে।তখনই বাড়তে শুরু করেছে মূল্যস্ফীতি। হঠাৎ করেই অতি উচ্চ পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ করা যায় না। মানুষকে শুধু সহায়তা দেওয়া যায়।তবে এখন থেকেই রোজার পণ্য বেচাকেনায় অর্থাৎ তেল, চিনি, ছোলা ও খেজুরের দামেও যাতে মূল্যস্ফীতি না হয় সেজন্য সরকার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ নিচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ড. নাজনীন  আহমেদ।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article