টেকসই উন্নয়নে জি-২০ জোটে প্রধানমন্ত্রীর ৬ প্রস্তাব
বিশ্বের প্রধান উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর ফোরাম হচ্ছে জি-২০০। ফোরামটি বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমন এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের মতো বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম। এখানেই প্রস্তাবনা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
টেকসই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বৈশ্বিক দক্ষিণ এর উন্নয়নের জন্য জি-২০ জোটের সামনে ছয়টি প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘ভয়েস অব দ্য সাউথ সামিট-২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ১২ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে এসব প্রস্তাবনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রথম প্রস্তাব: মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। এখানে যুদ্ধ-বিগ্রহ কোনো ভাবেই কাম্য নয়।
দ্বিতীয় প্রস্তাব:একটি নতুন দৃষ্টান্ত প্রয়োজন, যা ‘এসডিজি’-এর সমান্তরালে সামগ্রিকভাবে বৈষম্যকে মোকাবিলা করবে।
তৃতীয় প্রস্তাব: স্বল্পোন্নত ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোসহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বিশেষ অর্থায়নের ব্যবস্থা করতে হবে। সংকটকালীন সময়ে এই অর্থ যাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
চতুর্থ প্রস্তাব: বৈষম্য দূর করতে নারীসহ সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য ‘ডিজিটাল ডিভাইডস’ সেতুবন্ধন রচনার প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দিতে হবে।
পঞ্চম প্রস্তাব: সব মানুষেরই ভালোভাবে জীবনযাপনের সমান অধিকার থাকা উচিত। বৈশ্বিক সম্প্রদায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতের বিষয়টিকেও গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।
ষষ্ঠ প্রস্তাব: বৈশ্বিক মানব উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সবাইকে গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের এক ছাদের নিচে নিয়ে আসতে হবে। এর জন্য ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত, থিঙ্ক-ট্যাঙ্ক এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সমর্থন জরুরি বলেও প্রস্তাবনায় উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, জি-২০ হল বিশ্বের প্রধান উন্নত এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর ফোরাম। ফোরামটি বৈশ্বিক অর্থনীতির পাশাপাশি, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি প্রশমন এবং স্থিতিশীল উন্নয়নের মতো বিভিন্ন বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনার প্ল্যাটফর্ম।
আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, ফ্রান্স, জার্মানি, ইন্ডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, রিপাবলিক অব কোরিয়া, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন এই ফোরামের সদস্য।