রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসায় মার্কিন কর্মকর্তা
- আলোচনার অভিমুখ বদলে গেছে বাংলাদেশের
- প্রতিবেশিদের পাশাপাশি বাংলাদেশ বন্দনা পশ্চিমাদের মুখেও
- শেখ হাসিনার সাহসী ও দৃঢ় সিদ্ধান্তের প্রশংসায় হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তা
- বাংলাদেশ সফরে এসে সরকারের প্রশংসা করেন তিনি
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্পসহ এদেশের সামাজিক ও অবকাঠামোগত বিভিন্ন পরিবর্তন ও পদক্ষেপ নিজ চোখে দেখে অবিভূত হচ্ছেন বিদেশিরা। করছেন উচ্ছ্বসিত প্রশংসা। প্রতিবেশি ভারত-পাকিস্তানিদের মুখে অব্যাহত শোনা যায় বাংলাদেশের প্রসংশা। বন্দনা করছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ তাবৎ পশ্চিমা গোষ্ঠিও।
সম্প্রতি গণহত্যা থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখের বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশে প্রবেশের অনুমতি এবং আশ্রয় প্রদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও দৃঢ় সিদ্ধান্তের আন্তরিক প্রশংসা করেন হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র পরিচালক রিয়ার অ্যাডমিরাল এইলেন লবাখ।
মার্কিন এই কর্মকর্তা চার দিনের সফরের তৃতীয় দিন ৯ জানুয়ারি ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বৈঠকে তিনি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের জন্য প্রচুর সম্পদের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে তাদের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহায়তার বিষয়েও আলোচনা করেন।
অন্যদিকে জাতিসংঘে রোহিঙ্গা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রস্তাবে সমর্থন ও রোহিঙ্গা জেনোসাইডকে যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য মার্কিন সরকারের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রসচিব।
এ ছাড়া পারস্পরিক স্বার্থ ও অগ্রাধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বিষয়, বিশেষ করে মানবিক সহায়তা, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, উন্নয়ন সহযোগিতা, সমুদ্রবিষয়ক নিরাপত্তা, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো শক্তিশালীকরণ, সাইবার নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি মার্কিন প্রতিনিধিদলটি কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে গিয়ে সেখানকার শিক্ষা ও সংস্কৃতিচর্চার সুযোগসহ অন্যান্য সুবিধা দেখে অবিভূত হন।