৫০ হাজার বছর পর দেখা মিলবে তার!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:৩৮, সোমবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৩, ২৫ পৌষ ১৪২৯

৫০ হাজার বছর পর দেখা যাবে একটি বিরল ধূমকেতু। এই সময়ের মধ্যে এই ধূমকেতু একবার পৃথিবী ও সূর্যের কাছাকাছি আসে। পৃথিবী থেকে দূরবীন ছাড়া সহজেই পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন বিশ্ববাসী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি আকাশ পরিষ্কার থাকে এবং চাঁদের আলো বেশি আলোকিত না হয় তবেই খালি চোখে দেখা সম্ভব।

 

প্যারিসের জ্যোতির্বিজ্ঞানী নিকোলাস বিভার বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেন, পূর্ণিমার কারণে খালি চোখে দেখা না গেলেও, জানুয়ারির ২১-২২ তারিখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের জন্য এটি পর্যবেক্ষণের ভালো একটি সুযোগ হবে। ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক জুইকি ট্রানজিয়েন্ট ফ্যাসিলিটির নাম অনুসারে, ধূমকেতুটির নাম রাখা হয়েছে সি/২০২২ ই৩ (জেডটিএফ)। গত বছরের মার্চে বৃহস্পতি গ্রহকে অতিক্রম করার সময় ধূমকেতুটি প্রথম শনাক্ত করে জুইকি ট্রানজিয়েন্ট ফ্যাসিলিটি। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসার বিজ্ঞানীরা বলছেন, ১২ জানুয়ারি এটি সূর্যকে অতিক্রম করবে।


১ ফেব্রুয়ারির পর ১০ ফেব্রুয়ারি ধূমকেতুটি যখন মঙ্গল গ্রহ অতিক্রম করবে, তখনো এটি দেখার সুযোগ পাওয়া যাবে। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি ধূমকেতুটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি দূরত্বে থাকবে। তখন বাইনোকুলারের সাহায্যে বা খালি চোখেই রাতের আকাশে এটি দেখা যাবে। তবে ঐ সময়ে পূর্ণিমা থাকলে আলোর আধিক্যে ধূমকেতুটি দেখা কঠিন হয়ে পড়তে পারে। ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক থমাস প্রিন্স বলেন, ‘ধূমকেতুটি পৃথিবীর কাছে আসায় দূরবীক্ষণ যন্ত্র দিয়ে এটির গঠন জানা সহজ হবে। এ ছাড়া এটি আমাদের সৌরজগৎ ও এর বাইরের গ্রহ সম্পর্কেও তথ্য দিতে পারে।’

২১ ও ২২ জানুয়ারি এটিকে দেখার সবচেয়ে ভালো সময় হতে পারে বলে জানিয়েছেন প্যারিস অবজারভেটরির জ্যোতিপদার্থবিদ নিকোলাস বিভার। ধূমকেতুটি উর্ট ক্লাউড নামের একটি এলাকা থেকে এসেছে। উর্ট ক্লাউড মূলত সৌরজগতের চারপাশে বিশাল গোলক, যেখানে রহস্যময় বরফের বস্তুর অবস্থান রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এর আগে সর্বশেষ এই ধূমকেতু যখন পৃথিবীকে অতিক্রম করেছিল, তখন পৃথিবীতে নিয়ানডারথলদের বিচরণ ছিল।

ফরাসি জ্যোতিপদার্থবিদ নিকোলাস বিভার বলেছেন, ‘এই ধূমকেতু এবার পৃথিবীকে অতিক্রমের পর পুরোপুরি সৌরজগতের বাইরে চলে যাবে। এই ধূমকেতুর গঠন নিয়ে গবেষণা করছেন বিজ্ঞানীরা। এ জন্য নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপটিকেও কাজে লাগানো হচ্ছে।’

বিষয়ঃ ICT গবেষণা

Share This Article