রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ে ঘুরে দাড়াবে নতুন বছরের অর্থনীতি!

  প্রতিবেদক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:১১, সোমবার, ২ জানুয়ারি, ২০২৩, ১৮ পৌষ ১৪২৯

কোভিড-১৯ মহামারি কাটিয়ে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আবার চাঙ্গা হচ্ছিলো। ঠিক তখনই বাধে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। বিশ্ববাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে থাকে আমদানি ব্যয়। শুধু বাংলাদেশই নয়, সমগ্র বিশ্বে এখন মূল্যস্ফীতি দাবড়ে বেড়াচ্ছে। তবে সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপে অর্থনীতির চ্যালেঞ্জগুলা মোকাবেলা করে চাঙ্গা হতে শুরু করেছে দেশের অর্থনীতি।

২০২২ সালের শেষভাগে এসে দেশের অর্থনীতিতে আশা জাগিয়েছে রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়।তাই অর্থনীতির চ্যালেঞ্জ যত দ্রুত দক্ষতার সঙ্গে মোকাবেলা করা যাবে, তত দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি,বলছেন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ব্যাংকিং খাত নিয়ে বিভিন্ন অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সরগরম করে তুলছে একটি গোষ্ঠী। এতে প্রবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তবে  এসব অপপ্রচারের বিপক্ষে সরকার ও  ব্যাংক এসোসিয়েশনগুলোর   জবাবে গৃহীত পদক্ষেপে আশ্বস্ত হয় গ্রহকরা।ফলে গত  বছরের শেষভাগে এসে দেশের অর্থনীতিতে আশার আলো জ্বালায় রেমিটেন্স আয়। সেপ্টেম্বর থেকে রেমিটেন্সের পালে হাওয়া লেগে ডিসেম্বরে আসে ১৭০ কোটি ডলার, যা বিগত তিন মাসের মধ্যে সব্বোর্চ।

অন্যদিকে সদ্য শেষ হওয়া বছরের নভেম্বরে পণ্য রপ্তানিতে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি হয়। বিশ্ববাজারে রপ্তানি বাণিজ্যে এক মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার আয়ের মাইলফলক অতিক্রম করে দেশ। এই অঙ্ক দেশের ইতিহাসে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙ্গেছে বলে জানা গেছে।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটা খুবই ভালো খবর যে, এই কঠিন সময়ে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বেড়েছে। এটি অব্যাহত রাখতে সরকারি পদক্ষেপ অব্যাহতের পাশাপাশি সবার অবস্থান থেকে জোর প্রচেষ্টা চালাতে হবে।এই ইতিবাচক ধারা যদি ধরে রাখা যায়, তবে আর আমাদের কোনো সমস্যা হবে না বলেও মনে করেন তারা।

বিষয়ঃ উন্নয়ন

Share This Article