চাল-ময়দা ও তেল-পেঁয়াজের দাম কমেছে

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৪:১৫, রবিবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২২, ১০ পৌষ ১৪২৯

চাল, ডাল, ময়দা, তেল, পেঁয়াজ ও আলুসহ বেশ কয়েকটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম গত এক সপ্তাহে কমেছে। 

 

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজার, সূত্রাপুর বাজার, শ্যামবাজার, কচুক্ষেত, মহাখালী, আজমপুর, রামপুরা, মিরপুরসহ বেশ কয়েকটি বাজারের পণ্যের দামের গত এক সপ্তাহের তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছে টিসিবি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম ১ দশমিক ৯৪ শতাংশ কমেছে। এক কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৬-৫৫ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এই চালের কেজি ছিল ৪৮-৫৫ টাকা। পাশাপাশি দাম কমেছে সরু চাল নাজির ও মিনিকেটের। সেই সঙ্গে মাঝারি মানের পাইজাম ও লতা চালের দামও কমেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মাঝারি মানের চালের দাম কমেছে ২ দশমিক ৬২ শতাংশ। এখন এক কেজি মাঝারি মানের চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২-৬০ টাকায়, এক সপ্তাহ আগে যা ছিল ৫৫-৬০ টাকা। আর সরু চালের দাম কমেছে দশমিক ৭৩ শতাংশ। এতে এক কেজি সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৮-৭৮ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে এই চালের দাম ছিল ৬২-৭৫ টাকা।

টিসিবি জানিয়েছে, গেল এক সপ্তাহে সব ধরনের সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের দাম কমেছে। খোলা সয়াবিন তেলের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে ৫ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। এতে এক লিটার লুজ সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৬৭-১৭০ টাকা, যা আগে ছিল ১৭৫-১৮০ টাকা।

পাঁচ লিটার বোতলের সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৮৮০-৯০৬ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ৮৯০-৯২৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ১ দশমিক ৬০ শতাংশ। আর এক লিটার বোতলের দাম কমেছে ১ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এতে বোতলের এক লিটার সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ১৭৮-১৮৭ টাকা, যা আগে ছিল ১৮০-১৯০ টাকা। অপরদিকে লুজ পাম অয়েলের লিটার বিক্রি হচ্ছে ১১৭-১২৫ টাকা। এক সপ্তাহ আগে ছিল ১১৫-১৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ১ দশমিক ২২ শতাংশ। আর সুপার পাম অয়েল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫-১২ টাকা, যা আগে ছিল ১০-১৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ২ দশমিক ৮১ শতাংশ।

আরো জানা গেছে, দাম কমার তালিকায় থাকা খোলা ময়দার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকা, যা আগে ছিল ৭০-৭৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ২ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছে ২৫ শতাংশ। এতে এক কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৩৫ টাকা, যা আগে ছিল ৪৫-৫৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমেছে ১৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এতে এক কেজি আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা আগে ছিল ৪০-৪৫ টাকা।

টিসিবির তথ্য বলছে, গত এক সপ্তাহে বড় ও মাঝারি দানার মসুর ডাল কমেছে। বড় দানার মসুর ডালের দাম কমেছে ২ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এতে এক কেজি বড় দানার মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১০০-১০৫ টাকা, যা আগে ছিল ১০০-১১০ টাকা। আর মাঝারি দানার মসুর ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১২৫ টাকা, যা আগে ছিল ১২৫-১৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।

গত এক সপ্তাহে ছোলার দাম ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ কমেছে। এতে এক কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকা, যা আগে ছিল ৮৫-৯০ টাকা। আলু বিক্রি হচ্ছে ২০-২৫ টাকা, যা আগে ছিল ২২-৩০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম কমেছে ১৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ।

এছাড়া আমদানি করা আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০-১৫০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০-১৬০ টাকা। জিরার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৫৫০ টাকা, যা আগে ছিল ৫০০-৫৭০ টাকা। দারুচিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৩০-৫০০ টাকা, যা আগে ছিল ৪২০-৫২০ টাকা। ধনে বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৫০ টাকা কেজি, যা আগে ছিল ১২০-১৬০ টাকা। আর তেজপাতার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৭০ টাকা, যা আগে ছিল ১৩০-১৮০ টাকা।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, গত এক সপ্তাহে দেশি ও আমদানি করা উভয় ধরনের রসুনের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। এতে এক কেজি আমদানি করা রসুন বিক্রি হচ্ছে ১১০-১৩০ টাকা, যা আগে ছিল ১০০-১২০ টাকা। আর দেশি রসুনের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০-১০০ টাকা, যা আগে ছিল ৭০-৮০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article