তিনদিনের ছুটিতে লোকারণ্য কুয়াকাটা-কক্সবাজার

  প্রতিবেদক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:৩৭, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর, ২০২২, ৮ পৌষ ১৪২৯

টানা তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে ও সাগরকন্যা খ্যাত পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় পর্যটকের ভিড় বেড়েছে। আজ (শুক্রবার) সাড়ে তিন লাখের বেশি পর্যটক সমাগম হয়েছে বলে জানা গেছে। শুক্র ও শনিবারসহ আসন্ন বড়দিন উপলক্ষে এত পর্যটক এসেছেন। হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলোতে কোনও কক্ষ খালি নেই। এই অবস্থায় সৈকতের বালিয়াড়িতে রাতযাপন ছাড়া উপায় দেখছেন না অনেক পর্যটক। তবে সব ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।


 

শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) সরেজমিনে সৈকতে গিয়ে দেখা যায়, পর্যটকরা কেউ সমুদ্রে সাতার কাটছেন, কেউ ঘোড়ায় চরে ঘুরছেন, আবার কেউ বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী, সুগন্ধা ও লাবণী পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, লাখো পর্যটক সৈকতে নেমেছেন। সাপ্তাহিক ছুটি ও বড়দিনের টানা ছুটি পেয়ে কক্সবাজার সৈকতে ভ্রমণে এসেছেন পর্যটকরা। কেউ বালিয়াড়িতে দৌড়ঝাঁপ, কেউ সমুদ্রস্নানে ব্যস্ত। যে যার মতো আনন্দে মেতেছেন। শুধু কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত নয়, পর্যটকরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন, পাথুরে সৈকত ইনানী, হিমছড়ি ও রামু বৌদ্ধমন্দির, মহেশখালী আদিনাথ মন্দিরেও।

কুয়াকাটা সৈকতের জিরো পয়েন্ট ছাড়াও শুটকি পল্লী, লেম্বুর চর, তিন নদীর মোহনা, ঝাউবন, গঙ্গামতি ও রাখাইন মার্কেটসহ সকল স্পটে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি। কুয়াকাটার শতভাগ হোটেল-মোটেল ইতিমধ্যে বুকিং হয়ে গেছে। এতে হাসি ফুটেছে ব্যবসায়ীদের মুখে।

কুয়াকাটা সৈকত সংলগ্ন কসমেটিকস ব্যবসায়ী ইশরাত রহমান বলেন, ‘১৫ ডিসেম্বরের পর পর্যটকের আনাগোনা বাড়ে। তবে শুক্রবার পর্যটকে কানায় কানায় পূর্ণ কুয়াকাটা। বিক্রি আগের তুলনায় বেড়েছে।’

হোটেল মালিক ও পর্যটন সংশ্লিষ্টরা জানান, বৃহস্পতিবার থেকে সাপ্তাহিক ছুটি মিলিয়ে টানা তিন দিন সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে। তাই শুক্রবার সকাল থেকেই পর্যটকরা কক্সবাজারমুখী হয়েছেন। সব ধরনের হোটেল-মোটেল রুম বুকিং বন্ধ রয়েছে। হোটেলের কক্ষ পেতে লাগেজ নিয়ে এক হোটেল থেকে অন্য হোটেলে ছোটাছুটি করতেও দেখা যায় বেশ কয়েকজন পর্যটককে।

বিষয়ঃ কক্সবাজার

Share This Article