ঢাকানগর পরিবহনে চড়ে খুশি যাত্রী ও চালকরা !

সম্প্রতি ঢাকা নগর পরিবহনের বাস সেবা পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হওয়ার পর থেকে এই বাসে চলাচলকরে মহাখুশী যাত্রী ও চালকরা।
এ বাসে কোনো যাত্রীকে দাঁড়িয়ে যেতেহয় না, দৌড়ে ওঠাও লাগে না, এমনকি যাত্রীর অপেক্ষায় বাসও বসে থাকে না।
অন্যদিকে, এই পরিবহন চালিয়ে খুশি চালকরাও। কারণ, এখন আর মালিককে দিনশেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমার হিসেব দেওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই। বাস চালানোও যাচ্ছে নির্বিঘ্নে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কাউন্টারে গিয়েগন্তব্য জানাতেই টিকিট বিক্রেতা একটি যন্ত্রের বোতাম চাপেন। এতে একটি টিকিট বেরিয়ে আসে। আর এখানেই জমা হচ্ছে সব অর্থ। ফলে স্বস্তিতে থাকছেন চালকরা।
ঢাকায়সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ ধরাহয় বেপরোয়া বাস চালানোকে। মালিকেরা চালকদের হাতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমার শর্তে বাস তুলে দেন। সেই টাকা ওঠাতে যাত্রী পেতে মরিয়া থাকেন বাসচালকেরা। বাসগুলো একটি অন্যটির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে। ফলে অনেক সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়।
ঢাকানগর পরিবহনের উদ্দেশ্য বাস সেবায় শৃঙ্খলা নিয়ে আসা। এতে বাসে বাসে প্রতিযোগিতা রোধ হবে, দুর্ঘটনা কমবে, পাশাপাশি যাত্রীসেবার মান বাড়বে বলেও মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, ঢাকার বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটি কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে রাজধানী হয়ে নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর রুটে ৫০টি বাস দিয়ে এই সেবা চালুকরে। শীঘ্রই এর সংখ্যা ১০০-তে রূপান্তর ঘটবে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।