দুর্ঘটনায় হয়ত কখনো মা হতে পারতাম না: ফারিণ

  বিনোদন ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০২:২৯, বুধবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০২২, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪২৯

ভয়াবহ দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন বাংলা ছোট ও বড়পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। আর এ ঘটনায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত এই অভিনেত্রী। এখনও দুর্ঘটনার ঘোর থেকে বেরোতে পারেননি। 

রাজধানীর কুড়িলে যমুনা ফিউচার পার্কে গতকাল (২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাবার সঙ্গে কেনাকাটা করতে গিয়ে আহত হন বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনয়শিল্পী তাসনিয়া ফারিণ। এ ঘটনায় তার দুই পা জখম হয়। পরে তাকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে নিয়ে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করেছেন এই অভিনেত্রী। তিনি সেখানে জানান, ‘যদি গতকাল ফ্র্যাকশন অব সেকেন্ডের মধ্যে আমাকে আমার ভাই পেছন থেকে টান দিয়ে না সরাত কিংবা আমার বাবা যদি আমাদের দুজনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে না দিতো, আমি জানি না আজকে এ স্ট্যাটাস লেখার জন্য বেঁচে থাকতাম কিনা। হয়তো থাকতাম। তবে আমার পা থাকতো না অথবা আমি কখনো মা হতে পারতাম না। সে পরিস্থিতির ভয়াবহতা হয়তো লিখে বা বলে বোঝানো সম্ভব নয়।

তিনি আরও লেখেন, ‘গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার আশেপাশে যমুনা ফিউচার পার্কের প্রথম ফ্লোর থেকে গ্রাউন্ড ফ্লোরে নামার সময় গেট দিয়ে ঢুকেই যে মেইন এস্কেলেটরটা সেটায় আমার দুর্ঘটনা ঘটে। সিঁড়ির নিচে যে অ্যালুমিনিয়ামের নাকি স্টিলের সেটা জানি না, সে পাত খুলে বের হয়ে ধারালো কোণা আমার পায়ে আঘাত করে। 

আমি সিঁড়ির ডান পাশে ছিলাম। আর ওইটা ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সংঘর্ষ হয় আমার পরনের প্যান্ট ছিঁড়ে যায় অনেকটুকু। আর পায়ের বিভিন্ন স্থান ছিলে যায় ও ডিপ কাট হয়, যেটা পরবর্তীতে টের পাই।

কিন্তু ওই মুহূর্তের শুধু একটা ইমেজ আমার মাথায় ঘুরে ফিরে বারবার আসছে তা হলো কিছু বোঝার আগে সবাই গগনবিদারী চিৎকার করে উঠল। আমি দেখলাম ডান পা স্ক্র্যাচ করে পায়ের পাশ দিয়ে মাঝখান হয়ে বাম পায়ের উপরের দিকে একটা পাত ঢুকে যাচ্ছে। আর চলন্ত সিঁড়িটিও আমাকে আরো সেদিকেই ঠেলে নিয়ে যাচ্ছে।’

যদি গতকাল ফ্র্যাকশন অব সেকেন্ডের মধ্যে আমাকে আমার ভাই পেছন থেকে টান দিয়ে না সরাত কিংবা আমার বাবা যদি আমাদের দুজনকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে না দিতো, আমি জানি না আজকে এ স্ট্যাটাস লেখার জন্য বেঁচে থাকতাম কিনা। হয়তো থাকতাম।

তবে আমার পা থাকতো না অথবা আমি কখনো মা হতে পারতাম না। সে পরিস্থিতির ভয়াবহতা হয়তো লিখে বা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। আমি নিচে নেমে দাঁড়ানোর কয়েক সেকেন্ডের কিছুই আমার মনে নেই। সম্বিত ফেরার পর দেখি আমার হাঁটুর উপর থেকে প্যান্ট ছেঁড়া এবং পুরো পা ঝা ঝা করছে। ততক্ষণে অনেক লোক জড়ো হয়ে গেছে।’

Share This Article