নেতৃত্বে থাকবে বেসরকারি খাত : ২০৪০ সালে ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতির দেশ হবে বাংলাদেশ!

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:৩৮, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২২, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৯

বিশ্বখ্যাত 'ফিচ' এর রিপোর্টে স্বল্প মেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে সতর্ক করলেও দীর্ঘমেয়াদে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আশাব্যঞ্জন বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বোস্টন কনসাল্টিং ফার্ম। ২  ডিসেম্বর প্রকাশিত ‘দ্য ট্রিলিয়ন-ডলার প্রাইজ-লোকাল চ্যাম্পিয়নস লিডিং দ্য ওয়ে’ শিরোনামের এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।

সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের পরেও কীভাবে দেশের অর্থনীতি সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তার ওপর আলোকপাত চালিয়ে সমীক্ষা করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয়  কোম্পানিগুলোর সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে সমীক্ষাটি তৈরি করা হয়েছে, যাদের বার্ষিক আয় ৩০০ মিলিয়ন থেকে তিন বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

এ নিয়ে কথা বলছেন বোস্টন কনসাল্টিং ফার্মের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জারিফ মুনির। তার মতে ২০৪০ সালে ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছাবে বাংলাদেশের অর্থনীতি। আর এর নেতৃত্ব দেবে দেশের বেসরকারী খাত।  তারা বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর সঙ্গে তুমুল প্রতিযোগিতা করে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড হিসেবে স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা করছে। 
তারা বলছে, বাংলাদেশে উচ্চ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির সম্প্রসারণের ফলে বিশাল ভোক্তার বাজার সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া সাড়ে ছয় লাখের বেশি ফ্রিল্যান্সার নিয়ে ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল রূপান্তর ও সরকারের বহুমুখী প্রচেষ্টা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মজবুত করছে।

তাদের মতে, ভিয়েতনাম, ভারত, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশকে পেছনে ফেলে বাংলাদেশ বড় অর্থনীতির দেশ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের উদীয়মান এ কম্পানিগুলো শেয়ারহোল্ডারদের  বছরে গড়ে ১৬ শতাংশ করে রিটার্ন দিয়েছে, যা বৈশ্বিক হিসাবে চমকপ্রদ 
এদের ৫৭ শতাংশ বিশ্বাস করে পরবর্তী প্রজন্ম আরো ভালো জীবনযাপনের সুযোগ পাবে। বাংলাদেশের একটি উদীয়মান তরুণ শ্রমশক্তি রয়েছে। যাদের গড় বয়স ২৮ বছর। এ দেশে কর্মক্ষম জনসংখ্যা ৬৮.৪ শতাংশ।  

জরিপে দেখা গেছে বাংলাদেশে ৮৩ শতাংশ কম্পানির সাহসী ও উচ্চাকাঙ্ক্ষী ভিশন রয়েছে এবং ৩৮ শতাংশ আরো ভালো গ্রাহক অর্জন করেছে। ৬১ শতাংশ বৈশ্বিক ব্র্যান্ড তৈরি করার জন্য কাজ করছে।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ভোক্তা বাজার বিশ্বের নবম বৃহৎ বাজার হতে যাচ্ছে। এই শ্রেণিটি ২০২৫ সাল নাগাদ হবে ৩৪ মিলিয়ন হবে। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত গড়ে বার্ষিক ৬.৪ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এশিয়ার অন্যান্য প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন ও থাইল্যান্ডকে ছাড়িয়েছে। এ দেশের প্রবৃদ্ধির হার নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর দ্বিগুণ এবং বৈশ্বিক গড় ২.৯ শতাংশের চেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বেশি।

বর্তমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে। তবে বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে সফলতার সঙ্গেই এ দেশ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি হওয়ার পথে এগিয়ে যাবে।

Share This Article