উদ্ধার হয়েছে আয়াতের মাথা : পিবিআই
চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকার পাঁচ বছরের শিশু আয়াতের খণ্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। আজ বৃহস্পতিবার ইপিজেড থানার আকমল আলী রোডের স্লুইসগেট এলাকা থেকে মাথাটি উদ্ধার করা হয়।
পিবিআইর চট্টগ্রাম মেট্রোর পরিদর্শক ইলিয়াস খান কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আয়াত হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আবির আলীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কয়েক দিন ধরে পুলিশ শিশুটির ছয় টুকরা দেহখণ্ড উদ্ধারে খোঁজ চালাচ্ছিল।
বুধবার দুপুরে স্লুইসগেটের ভেতর থেকে আয়াতের দুই পা উদ্ধার করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে মাথা উদ্ধার করা হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
গত ১৫ নভেম্বর ইপিজেড থানার বন্দরটিলা এলাকার বাসা থেকে পাশের মক্তবে আরবি পড়তে যায় পাঁচ বছর বয়সী আয়াত। এর পর থেকে তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। পরদিন সে নিখোঁজের অভিযোগে ইপিজেড থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার বাবা সোহেল রানা।
এরপর ২৬ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে গ্রেপ্তার করা হয় ১৯ বছর বয়সী আবির আলীকে। আবির একসময় আয়াতের দাদাবাড়ির ভাড়াটিয়া ছিল। পরে সে আকমল আলী সড়কে থাকত। কাজ করত পোশাক কারখানায়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে পিবিআই তাকে গ্রেপ্তার করে।
আবিরের বরাতে পিবিআই জানায়, ছয় মাস আগে ওই যুবক রাস্তায় একটি মোবাইলের সিম কার্ড পায়। কাউকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে নতুন মোবাইল কিনে ওই সিম তোলে। আয়াতের পরিবার অনেক টাকার মালিক ভেবে সে শিশুটিকে অপহরণের পরিকল্পনা করে।
১৫ নভেম্বর বিকেলে আবির আয়াতকে অপহরণের চেষ্টা করে। শিশুটি চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। পরে মরদেহ আকমল আলী সড়কের বাসায় নিয়ে ছয় টুকরা করা হয়। টুকরাগুলো দুটি ব্যাগে নিয়ে ওই এলাকাসংলগ্ন বেড়িবাঁধে ফেলে দেয়। আয়াত হত্যা মামলায় আবিরের পর তার মা, বাবা ও বোনকেও গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পিবিআই।