১০ ডিসেম্বর: বিএনপির কৌশল ও আওয়ামী লীগের প্রতিরোধ কৌশল
- বিএনপি রাজধানীর ভেতরে একবার প্রবেশ করতে পারলে প্রতিটি গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ঢাকা শহর অচল করে দিতে পারবে তারা।
- ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের অধীন ৭৫টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে সতর্ক পাহারা বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর বাইরে উত্তরের ২৬টি থানা কমিটিও তাদের নিজ নিজ থানার নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান নেবে।
১০ ডিসেম্বর বিএনপির আসন্ন সমাবেশ ঘিরে ব্যপক প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি আওয়ামী লীগ দুই পক্ষই। প্রতিদিন একাধীকবার একের পর এক কৌশল নির্ধারন করে হাইকমান্ড থেকে তৃণমুলে পাঠানো হচ্ছে। এতে স্পষ্ট হয়ে উঠছে, এবার কেউই কাউকে বিন্দু পরিমান ছাড় দিবে না।
বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা জানিয়েছেন, যে কোনও ভাবেই তারা সমাবেশ করতে চায় দলটি। রাজধানীর ভেতরে একবার প্রবেশ করতে পারলে প্রতিটি গুরুত্বপুর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে ঢাকা শহর অচল করে দিতে পারবে তারা। এটি করা সম্ভব হলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদের উচ্ছেদ করা কঠিন হবে। মূলত এই পরিকল্পনাতেই এগুচ্ছে বিএনপি।
অপরদিকে বিএনপির পরিকল্পনার ওপর ভিত্তি করে আওয়ামী লীগও বসে নেই।বিএনপি যদি সরকার প্রস্তাবিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের বাইরে ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান নিতে চায় সেক্ষেত্রেও ব্যপক প্রতিরোধের ব্যবস্থা করে রেখেছে আওয়ামী লীগ।
জানা যায় এরই মধ্যে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের অধীন ৭৫টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে সতর্ক পাহারা বসানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। এর বাইরে উত্তরের ২৬টি থানা কমিটিও তাদের নিজ নিজ থানার নির্দিষ্ট স্থানে অবস্থান নেবে।এসব মোড় কিংবা সড়ক এড়িয়ে কারও পক্ষেই ডিএমপি কতৃক অননুমোদিত স্থান নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে যাওয়া কঠিন হবে।
এছাড়া ১০ ডিসেম্বর সাভার, ধামরাই ও আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগ সমাবেশ করবে। ফলে উত্তরবঙ্গ ও ঢাকা-পাটুরিয়া মহাসড়ক ধরে কেউ বিএনপির গণসমাবেশকে ঘিরে বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে সেক্ষেত্রেও বাধার সুম্মুখীন হবে।
অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক ধরে বিএনপির গণসমাবেশে আসা কর্মীরা বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে সেখানেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং কাঁচপুরে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ সক্রিয় থাকবে বলে জানা গেছে।