৫৬২ বিলিয়ন ডলার জেলিফিসের রপ্তানিকারক দেশ হতে পারে বাংলাদেশ!
জেলিফিশ যেমন খাওয়ার উপযোগী অন্যদিকে ব্যবহার করা যায় কসমেটিকস ও ওষুধ শিল্পে। সম্প্রতি কক্সবাজারে মৃত জেলিফিশ ভেসে আসার পর গবেষণা করতে গিয়ে এমন ইতিবাচক তথ্যের কথা জানান বিজ্ঞানীরা।
জানা গেছে, গেল আগস্টে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে মৃত জেলি ফিস। দুই মাস না পেরোতেই আবারও অনেক মাছ ভেসে আসে। কেন এত মরা জেলিফিস ভেসে আসছে? এর কারণ অনুসন্ধানে নামে সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট।
গবেষকরা জানান, সমুদ্র উপকূল থেকে প্রায় ৩৫ নোটিকেল মাইল দূরে পানির ঘুর্ণায়ণ তৈরি হয়। এতে সাইট্রোপ্লাটোন ও নাইট্রেডের উপস্থিতির পাশাপাশি লবণাক্ততা বাড়ায় জেলিফিসের আনাগোনা বাড়ে।
সমুদ্রের তরঙ্গ কমলে এবং জেলেরা মাছ আহরণ করতে গেলে জালে প্রচুর জেলিফিস ধরা পড়ে। কিন্তু এই মাছের চাহিদা না থাকায় জেলেরা কেটে আবার সমুদ্র ফেলে দেয়। তখনই জেলেফিসগুলো মৃত অবস্থায় তীরে ভেসে আসে।
বিশ্বে জেলিফিসের ব্যাপক চাহিদা আছে। বিশ্বে এই ফিসের বাজার আছে ৫৬২ বিলিয়ন ডলার। এতে জেলিফিসের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক দেশ হতে পারে বাংলাদেশ।
সঠিক প্রক্রিয়ায় আহরণ ও রপ্তানি করতে পারলে পাল্টে যাবে দেশের অর্থনীতি এমন তথ্য জানিয়েছেন গবেষকরা।
তথ্যমতে জেলিফিসের সবচেয়ে বড় বাজার চীন, হংকং, ফিলিপাইন, জাপানসহ বিশ্বের বড় বড় দেশগুলো।