হালাল পণ্যের বিশ্ববাজার ধরতে সনদ দিচ্ছে বিএসটিআই
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হালাল খাদ্য খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। নিরাপদ ও স্বাস্থসম্মত হওয়ায় শুধু মুসলিম নয়, অমুসলিমদের মধ্যেও এই খাবার খাওয়ার হার বাড়ছে। বিশেষ করে দুগ্ধজাতীয় পণ্য, সাবান, কসমেটিকস,এছাড়া ওষুধের ক্ষেত্রেও বিরাট একটা বাজার রয়েছে। ২০২৪ সালের বিশ্বে এসব পণ্যের বাজার প্রায় ১০.৫১ ট্রিলিয়ন ডলার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও জানা গেছে।
অন্যদিকে, রপ্তানির ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র, মালয়েশিয়াসহ বেশ কয়েকটি দেশ হালাল পণ্যের সনদ দেখতে চায়। মূলত কী উপাদান দিয়ে উৎপাদন করা হয় তা ভালো না হলে পণ্যে নেতিবাচক মনোভাব তৈরি হয়। এমন প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক এই বাজার ধরতে চায় বাংলাদেশি কম্পানিগুলোও। সেই লক্ষ্যে হালাল সনদ দিচ্ছে দেশের একমাত্র মান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠান ‘বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন’-বিএসটিআই।
সূত্রমতে, হালাল সনদ দেয়ার জন্য বিএসটিআই’য়ের ১৫ সদস্যের আলাদা একটি কমিটি রয়েছে। কোনো কম্পানি সনদের জন্য আবেদন করলে হালাল লিটারেটর টিম ওই কম্পানির কারখানায় একাধিকবার পরিদর্শন করে। পরে বিএসটিআইয়ের ল্যাবে পণ্যের নমুনা নিয়ে ডিএনএ টেস্ট করে দেখা হয় হারাম কোনোও উপাদান আছে কি না। এরপর ১৫ সদস্যের ওই কমিটির সামনে ভিডিও চিত্রসহ উপস্থাপন করা হয়। পরে কমিটির কোনো আপত্তি না থাকলে হালাল সনদ দেওয়া হয়।
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞদের মতে, ‘শরাব, শূকরের মাংসসহ যেগুলো ইসলামে নিষেধ করা আছে, সেগুলো মিশিয়ে প্রস্তুত করা হলে সেগুলো হারাম হবে। হালাল প্রাণী যদি শরিয়াহ পদ্ধতিতে জবাই করা না হয়, সেটাও হারাম পণ্য। এ ছাড়া বাকি যা আছে বেশির ভাগই হালাল পণ্য।
উল্লেখ্য, দেশে এখন পর্যন্ত বিএসটিআই কর্তৃক তিনটি কম্পানি ২০টি পণ্যের হালাল সনদ অর্জন করতে পেরেছে। সনদ পাওয়ার অপেক্ষায় আছে আরো ১২টি পণ্য।
হালাল সনদ পাওয়া তিনটি কম্পানি শরিয়াহভিত্তিক উপায়ে ‘হালাল’ পণ্যের প্রস্তুত ও বাজারজাত করছে। কম্পানিগুলো হলো অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ড্যানিশ ফুড লিমিটেড, কোকোলা ফুড প্রডাক্টস লিমিটেড।