বাংলাদেশের সঙ্গে ‘সহযোগিতা’ চুক্তি করতে চায় ইইউ!
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে আরও এগিয়ে নিতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এরই লক্ষ্যে ২৪ নভেম্বর দুই পক্ষের মধ্যে ঢাকায় প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
জানা যায়, ২৩ নভেম্বর ঢাকা আসছেন ইইউ প্রতিনিধি দল। আর ঢাকা ত্যাগ করবেন ২৫ নভেম্বর। সংলাপে গণতান্ত্রিক নীতি ও মানবাধিকার ইস্যুতে জোর দেবে ইইউ।
ঢাকার সঙ্গে অংশীদারিত্ব ও সহযোগিতা চুক্তি বা পার্টনারশিপ অ্যান্ড কো-অপারেশন এগ্রিমেন্ট (পিসিএ) করতে চায় সংস্থাটি। দুই পক্ষের প্রথম রাজনৈতিক সংলাপে এ প্রস্তাব দেবে ইইউ।
সংলাপে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম আর ইইউর পক্ষে সংস্থাটির ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল এনরিকে মোরা। সফরে প্রধানমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও বৈঠক করতে পারেন ইইউ প্রতিনিধিরা।
সুশাসন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এর ওপর ভিত্তি করে ২০০১ সালে ইইউর সঙ্গে বাংলাদেশের সহযোগিতা চুক্তি সই হয়। এবার সম্পর্ককে পিসিএ চুক্তির মাধ্যমে আরও সুদৃঢ় করতে চায় সংস্থাটি।
কূটনৈতিকরা বলছেন, পিসিএ চুক্তিটি দুই পক্ষের কৌশলগত সম্পর্ককে আরও বড় আকারে করার প্ল্যাটফর্ম দেবে। এতে সামরিক ও প্রতিরক্ষা খাতে সম্পর্ক বাড়াতে পারবে ঢাকা-ব্রাসেলস।
উল্লেখ্য, এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়া, ভিয়েতনাম ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে পিসিএ রয়েছে ইইউর।