চার দোকানের গুদামে মিলল হাজার বস্তা চিনি

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ রাত ০৮:৩৩, মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪২৯

সারাদেশে চিনি সংকট। কয়েকদিনের ব্যবধানে মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম বেড়েছে অবিশ্বাস্যহারে। বাজারে যখন চিনির সংকট সেই তখন ঢাকা, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের চারটি দোকানে অভিযান চালিয়ে এক হাজার বস্তা চিনি জব্দ করেছে ভোক্তা অধিকার। পরে তাদেরকে আর্থিক জরিমানা করে জব্দকরা চিনি উপস্থিত জনসাধারণের মাঝে সরকারি দামে চিনি বিক্রি করা হয়।

 

মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট থেকে লুকিয়ে রাখা ৫৩০ বস্তা চিনি উদ্ধার: গোপন খবরের ভিত্তিতে সোমবার মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে লুকিয়ে রাখা ৫৩০ বস্তা চিনি জব্দ করা হয়। সততা ট্রেডার্স ও বিসমিল্লাহ ট্রেডার্স নামের দুটি প্রতিষ্ঠানের বন্ধ গুদামে এসব চিনিরে বস্তা পাওয়া যায়। পরে প্রতিষ্ঠান দুটিকে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমান জানান, গুদামের সামনে খালি ড্রাম দিয়ে লুকিয়ে রাখা ছিল এসব চিনি। এগুলো মজুদ চিনি। পরে উদ্ধারকরা ৫৩০ বস্তা চিনি উপস্থিত ভোক্তাদের মধ্যে সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি করা হয়।

চট্টগ্রামে ৫০০ বস্তা চিনি জব্দ: চট্টগ্রামের হালিশহরের সততা ট্রেডার্স নামের এক দোকানে গুদামে অভিযান চালিয়ে ৫০০ বস্তা চিনি উদ্ধার করে ভোক্তা অধিকার। এসময় অনিয়মের অভিযাগে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান শেষে চট্টগ্রাম জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ ফয়েজউল্লাহ বলেন, এ দোকানের মালিক আগের কেনা ৪ হাজার ৫০০ টাকা বস্তার চিনির দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছিলেন। এক কেজি চিনির দাম ৯০ টাকা হওয়ার কথা কিন্তু তিনি তা ১১০ টাকা করে বিক্রি করছেন।

ভোক্তা অধিকার জানায়, কারখানা থেকে ডিলাররা ডিও কেটে রেখেও ছাড় নেন না। দাম বাড়লেই বেশি টাকা হাতিয়ে নিতে কারখানা থেকে আগের কেনা চিনি গুদামে তুলেন ডিলার ও পাইকাররা।

গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে ৫০ বস্তা চিনি জব্দ: সোমবার দুপুরে শ্রীপুর উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা এলাকার মায়ের দোয়া বাণিজ্যলয়কে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদকরা ৫০ বস্তা চিনি জব্দ করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল। পরে দোকানে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযান শেষে আব্দুর জব্বার বলেন, ব্যবসায়ীরা অবৈধভাবে চিনি মজুদ করে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছেন। আমরা বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালিয়ে সরবরাহ নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসময় উপস্থিত ভোক্তাদের মধ্যে সরকারি দরে চিনি বিক্রি করা হয়।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article