জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন জরুরি

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সকাল ১১:০৩, সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৯

তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার কমিয়ে ২০৪০ সালের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনের জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন। গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া অ্যালায়েন্স- আত্মা’র সঙ্গে এক বৈঠকে এই মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এমপি।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন অধিকতর সংশোধনের অগ্রগতি এবং এবিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের করণীয় সম্পর্কে তুলে ধরতে প্রজ্ঞা ও আত্মার একটি প্রতিনিধি দল রোববার সচিবালয়ে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনীর উদ্যোগকে ‘সময়োপযোগী’ আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালী করতে হবে। আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই উদ্যোগে তার মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস ২০১৭)-এর বরাত দিয়ে বৈঠকে প্রজ্ঞা এবং আত্মা’র পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্ক জনগোষ্ঠীর ৩৫.৩ শতাংশ (৩ কোটি ৭৮ লাখ) তামাক ব্যবহার করে। তামাকখাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় যে আর্থিক ক্ষতি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি। তামাকের এই ভয়াবহতা রোধে ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং এলক্ষ্যে তিনি তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন যুগোপযোগী করার নির্দেশ দেন।  

এরপরই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আইন সংশোধনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের খসড়া সংশোধনীতে যেসব প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারমধ্যে রয়েছে সকল পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ রাখার বিধান বিলুপ্ত করা। বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য বা প্যাকেট প্রদর্শন নিষিদ্ধ করা। তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা। সব ধরনের খুচরা বা খোলা তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয় নিষিদ্ধ করা, ই-সিগারেট, ভ্যাপিং, হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসহ এধরনের সকল পণ্য উৎপাদন, আমদানি ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ করা।  

এছাড়া তামাকজাত দ্রব্যের প্যাকেট বা মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার ৫০ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ৯০ শতাংশ করা ইত্যাদি।

বৈঠকে আইনমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর বাংলাদেশ লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনের ‘রোগতত্ত্ব ও গবেষণা’ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক সুকান্ত গুপ্ত অলোক, চ্যানেল এস-এর ডিরেক্টর (নিউজ অ্যান্ড কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স) শংকর মৈত্র, আত্মার আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন এবং প্রজ্ঞার কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার।

Share This Article


দুঃসংবাদ দিল আবহাওয়া অফিস

থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান, কে এই বাংলাদেশি নারী?

টাইমের ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা

তৃতীয় ধাপে যেসব উপজেলায় ভোট অনুষ্ঠিত হবে

তীব্র গরমে হাসপাতালে বাড়ছে শিশু রোগী

এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিকের ভয়ঙ্কর ৩২ দিন!

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধের প্রভাব মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

২১ নাবিক ফিরবেন জাহাজে, দুজন বিমানে

বাংলাদেশের বিজয়কে সুসংহত করার অন্তরায় বিএনপি : ওবায়দুল কাদের

ওমরাহ ভিসা নিয়ে সৌদি আরবে নতুন আইন

বাংলাদেশে ঢুকল মিয়ানমারের আরও ৪৬ বিজিপি সদস্য