দেশে দেশে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর জয়জয়কার !

  নিউজ ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৩:৩৮, সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪২৯

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি কনভয় দেখেই দৌড়ে এলো কয়েকটি শিশু। তারা সেনা সদস্যদের কাছ থেকে বিস্কিটের প্যাকেট নিয়ে হাসিমুখে বিদায় নিলো। অস্ত্রহাতে কোন বাহিনী যে খাবার বা চিকিৎসা দেয়, এমনটা কখনও দেখেনি তারা। কারন দেশটিতে বছরের পর বছর চলেছে গৃহযুদ্ধ। মানুষ হত্যা, বিভিন্ন সশস্ত্র গ্রুপের আক্রমনে পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়ে কেটেছে তাদের জীবন। কিন্তু বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এসবের অবসান ঘটিয়েছে।

বলছি পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সিয়েরা লিওনের কথা। ১৯৯৯ সালে দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব নেয় জাতিসংঘ। মাত্র ৩ বছরের মাথায় বিদ্রোহী গোষ্ঠিদের হটিয়ে দেশটিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

সিয়েরা লিওনে জাতিসংঘের প্রেরিত দলে ৭৭৫ জন বাংলাদেশি সেনা ছিলেন। যুদ্ধ শেষ হওয়া অবধি বাংলাদেশের সর্বমোট ১২ হাজার সেনা দেশটিতে দ্বায়িত্ব পালন করেছে। এমনকী যুদ্ধপরবর্তী দেশের পুনর্নির্মাণে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশি সেনারা সিয়েরা লিওনে ছিলেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দেশটিতে এতোটাই জনপ্রিয় যে এখানকার শিশুরা এখন বাংলা ভাষা শিখছে। বাংলায় কথা বলছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আসার পর সেনাবাহিনী সম্পর্কে এখানকার মানুষের ধারনাই বদলে গেছে।  

একই চিত্র দেখা গেছে আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয়। এই ব্যক্তি (ভিডিও আছে) সেনাবাহিনীর চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। তার গ্রামের আরো বহু মানুষ এখান থেকে চিকিৎসা ও খাবার পেয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তথা পুরো বাংলাদেশের মানুষের প্রতিই সে কৃতজ্ঞ। সুযোগ পেলে বাংলাদেশ ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছেও আছে তার।

দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছিলো ১৯৯০ সালে। ১৯৯৯ সালে ছয়টি দেশের পক্ষ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর করা হয়। এরপর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সেখানে শান্তিরক্ষী বাহিণী মোতায়েন করে। যেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

একইভাবে পৃথিবীর প্রায় ২৫ টি দেশে সফলভাবে দ্বায়িত্ব পালন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।

১৯৮৮ সালে ইরাক ও নামিবিয়ায় দুটি অপারেশনে অংশগ্রহনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনীতে যাত্রা শুরু করে।এরপর ইরাক, কুয়েত, কাম্বোডিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডা, রুয়ান্ডা, মোজাম্বিক, প্রাক্তন যুগোস্লাভিয়া, লাইবেরিয়া, হাইতি, তাজিকিস্তান, পশ্চিম সাহারা, সিয়েরা লিয়ন, কসোভো, জর্জিয়া, পূর্ব তিমুর, কঙ্গো, আইভরি ডি ইভয়ার এবং ইথিওপিয়ায় তাদের যোগ্যতার স্বাক্ষর রেখে এসেছে। এসব দেশের জনগণ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে এখন শ্রদ্ধার চোখে দেখে।

এযাবৎ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ সেনা অংশগ্রহণকারী দেশ হচ্ছে বাংলাদেশ। অংশগ্রহণের দিক দিয়ে বাংলাদেশ বিগত ১০ বছরের মধ্যে ২০১৪, ২০১৫ সালে প্রথম স্থান এবং ২০১০, ২০১২, ২০১৩, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে।

এ পর্যন্ত বিশ্বের ৪০ দেশে ৫৪টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর এক লাখ ৮৩ হাজার ৬৭৯ জন সদস্য অংশ নিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের আটটি দেশের ৯টি শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ছয় হাজার ৮৩২ জন সদস্য শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিয়োজিত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭০১ জন 'নারী শান্তিরক্ষী' সাফল্যের সঙ্গে তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে মোট ৩৭২ জন নারী শান্তিরক্ষী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে কর্মরত আছেন।

জাতিসংঘের বিভিন্ন শান্তিরক্ষা অভিযানে বাংলাদেশের মোট ১৩৯ জন শান্তিরক্ষি বাহিনীর সদস্য জীবন হারিয়ে ছেন,যার মধ্যে চুরাশি জন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর, ১ জন বাংলাদেশ নৌবাহিনী এবং তিন জন ছিলেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সদস্য।

বিভিন্ন মিশনে বাংলাদেশ বাহিনীর অবদানকে সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে ২০০৪ সালে বিবিসি বাংলাদেশে জাতিসংঘের ফোর্সকে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর মজ্জ্বা হিসাবে বর্ণনা করেছে।

বিষয়ঃ দিবস

Share This Article


কেমন থাকবে আজকের আবহাওয়া

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসছেন কাতারের আমির

নাবিকদের নিয়ে আমিরাতের বন্দরে এমভি আবদুল্লাহ

শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত চুয়েট, বাসে আগুন

বেনজীর আহমেদের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

তীব্র তাপদাহে করণীয়

পুলিশকে সাহায্য করবে ক্রাইম জিপিটি!

ট্রেনে ১০০ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণে দিতে হবে বাড়তি ভাড়া

এবার এডিসের লার্ভা পেলেই জেল-জরিমানা: মেয়র আতিক

যুদ্ধের অর্থ জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ব্যয় হলে বিশ্ব রক্ষা পেতো

তাপমাত্রা সামান্য কমে ফের বাড়তে পারে

বুধবার থাইল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, সই হচ্ছে ৬ চুক্তি-সমঝোতা