রেমিট্যান্স শুষে নিচ্ছে 'হুন্ডি': যে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিলেন বিশেষজ্ঞরা

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:১৯, বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২, ১ অগ্রহায়ণ ১৪২৯

প্রবাসীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে রেমিট্যান্স পাঠিয়ে নায়কের ভূমিকায় থাকলেও খলনায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে রেমিট্যান্স শুষে নিচ্ছে হুন্ডি ব্যবসায়ীরা। অনিরাপদ এই মাধ্যমে ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার কিছুটা বেশি পাওয়ায় প্রবাসী কর্মীদের একটি অংশ হুন্ডিতে ঝুঁকছে। দিন শেষে বৈধ মাধ্যমের নগদ ডলার দেশে না আসায় ডলারের সরবরাহ কমছে, টান পড়েছে রিজার্ভে।

 

 

একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, বৈধ চ্যানেলে ৪০ ভাগ রেমিট্যান্স এলেও অবৈধ বা হুন্ডির মাধ্যমে আসছে ৬০ ভাগ। এতে সরকার যেমন রেমিট্যান্স প্রবাহের সঠিক পরিসংখ্যান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, তেমনি একজন প্রবাসী রেমিট্যান্স যোদ্ধা ও প্রাপ্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট কাটানোর অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ানো। এর বিকল্প নেই। আর এ প্রবাহ বাড়াতে হলে অবশ্যই হুন্ডি এবং অর্থ পাচার বন্ধে জোর দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

রিজার্ভ না বাড়লে অর্থনীতি স্বাভাবিক হবে না। তাই রেমিট্যান্স আহরণ বাড়াতে নগদ প্রণোদনার পরিমাণও বাড়াতে হবে। এতে বৈধ চ্যানেলে টাকা পাঠাতে উৎসাহিত হবেন প্রবাসী কর্মীরা। পাশাপাশি খোলাবাজারের সঙ্গে ব্যাংকিং চ্যানেলের বৈদেশিক মুদ্রার পার্থক্য কমাতে হবে। ফলে কমবে হুন্ডির দৌরাত্ম।

অন্যদিকে, রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়া আরো সহজ করতে হবে। দেশের সাধারণ মানুষ যারা রেমিট্যান্স গ্রহণ করেন, তাদের ব্যাংকে গিয়ে লেনদেনের বিষয়টি অনেক জটিল মনে হয়। ফলে ঘরে বসেই অবৈধ পথে রেমিট্যান্স গ্রহণ করাকে তারা অপেক্ষাকৃত সহজ মনে করেন। তাই বৈধ পথে রেমিট্যান্স আনতে যারা কাজ করছে তাদের সঙ্গে অবশ্যই প্রবাসীদের দূরত্ব কমাতে হবে। এর ব্যত্যয় ঘটলে বাড়বে না রেমিট্যান্স।

ব্যাংকিং চ্যানেলে বিদেশের সঙ্গে সপ্তাহে তিন দিন লেনদেন বন্ধ থাকছে। এ কারণে হুন্ডিতে লেনদেনের পথ বেছে নিচ্ছেন অনেকেই। তাই যে কোনো উপায়ে সপ্তাহের সাত দিনই ব্যাংকিং চ্যানেল খোলা রাখতে হবে।

সর্বোপরি রপ্তানিকারকরা যাতে আরো বেশি বৈদেশিক মুদ্রা আনতে পারে তার জন্য অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। তাইলেই রেমিট্যান্স বাড়বে বলে জানায় বিশেষজ্ঞরা।  

উল্লেখ্য, রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে চার্জ ফি সম্পূর্ণ মওকুফ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর ফলে টাকা পাঠাতে বাড়তি কোনো অর্থ লাগবে না প্রবাসীকর্মীদের।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article