জি এম কাদেরের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল, আবেদন খারিজ

  প্রতিনিধি
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:১৭, বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২, ১ অগ্রহায়ণ ১৪২৯

গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদেরের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। এর ফলে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে তার নিষেধাজ্ঞার আদেশ বহাল থাকলো।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) শুনানি শেষে ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হক এ আদেশ দেন।

জি এম কাদেরের অন্যতম আইনজীবী কলিম উল্যাহ মজুমদার এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা বাতিলে আমাদের আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একইসঙ্গে আগামী ৩০ নভেম্বর আরজি খারিজের আবেদনের শুনানি ও অন্য বিবাদীদের জবাব দাখিলের জন্য তারিখ রেখেছেন আদালত।’

এর আগে, গত ১০ নভেম্বর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ মাসুদুল হকের আদালতে এই শুনানি হয়৷ শুনানি শেষে আদালত ১৬ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন রাখেন।

গত ৬ অক্টোবর তার পক্ষের আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম, ও কলিম উল্যাহ মজুমদার জি এম কাদেরের পক্ষে এই আবেদন করেন। আবেদনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদেরের ওপর গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার চাওয়া হয়।

গত ৪ অক্টোবর জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা দলটির সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা এ মামলা করেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩১ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দলীয় যাবতীয় কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞার অস্থায়ী আদেশ দেন। একই আদালতে মশিউর রহমান রাঙ্গা গত ৩ অক্টোবর জিএম কাদেরসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করেন।

মামলায় বলা হয়, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর মৃত্যুবরণ করেন। এরপর বিবাদী জিএম কাদের হাইকোর্ট বিভাগের একটি রিট মামলা বিচারাধীন থাকার পরও জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ওই বছল ২৮ ডিসেম্বর কাউন্সিল করে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন। এরপর গত ৫ মার্চ গাজীপুর মহানগর কমিটির উপদেষ্টা আতাউর রহমান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক সবুর শিকদার, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক রফিকুল ইসলাম ও কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা. মো. আজিজকে বহিষ্কার করেন।

এ ছাড়া গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাদী মশিউর রহমান রাঙ্গাঁকে জাতীয় পার্টিও প্রেসিডিয়াম সদস্য পদ থেকে বহিষ্কার করেন। অন্যদিকে গত ১৭ সেপেপ্টম্বর অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধাকেও জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কার করেন। যা অবৈধ। তাই ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বরের কাউন্সিলসহ চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বহিঃস্কার আদেশ অবৈধ ঘোষণা করতে এবং হাইকোর্ট বিভাগের রীট ১৫০৫১/২০১৯ নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জাতীয় পার্টির পরবর্তী কাউন্সিল স্থগিত রাখতে মামলায় আদেশ চাওয়া হয়েছে।

Share This Article