সেনা শাসনামলে করা মামলায় তারেক -জোবাইদার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে তারেক রহমান- জোবাইদা রহমানের।
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং তথ্য গোপনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলা আমলে নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবাইদা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা দিয়েছেন আদালত।
আগামী ৫ জানুয়ারির মধ্যে ক্যান্টনমেন্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে বলা হয়েছে।১ নভেম্বর দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জমান এ আদেশ দেন।
২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ঢাকার কাফরুল থানায় এই মামলা করে দুদক। মামলার বিবরনে বলা হয়েছে, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ রয়েছে তারেক রহমান- জোবাইদা রহমানের। ওই মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তার মা ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়েছিলো। তবে মান্দ বানুর মৃত্যুর পর এই মামলা থেকে তাকে অব্যহতি দেয়া হয়।
২০০৮ সালে তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে দুদক। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
চলতি বছরের ২৬ জুন হাইকোর্ট তারেক ও জোবায়দাকে 'পলাতক' ঘোষণা করে ৪ কোটি ৮২ লাখ টাকার দুর্নীতি মামলা দায়ের ও তার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে করা পৃথক রিট আবেদন খারিজ করে দেন।
একইসঙ্গে হাইকোর্ট ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দায়ের করা এ মামলার স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নিয়ে সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে যত দ্রুত সম্ভব বিচার কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ দেন।