ভিটামিন ‘ডি’র ঘাটতি প্রতিরোধী খাবার

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:০২, মঙ্গলবার, ১ নভেম্বর, ২০২২, ১৬ কার্তিক ১৪২৯

ভিটামিন ডি’র প্রধান কাজ- রক্তে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাসের পরিমাণ স্বাভাবিক মাত্রায় রাখা, যা সুস্থ হাড় বজায় রাখতে সহায়তা করে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভিটামিন ডি’র ঘাটতির অন্যতম প্রধান কারণ হল জীবনযাপন পদ্ধতি।

 

ভিটামিন ডি এর অভাবে হাড় ও পেশিকে প্রভাবিত করে।

৬৫ বছরের বেশি বয়সী ব্যক্তি এবং যাদের ত্বক কালো তাদের মধ্যে ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি বেশি দেখা যায়। মানুষের ভিটামিন ডি এর অভাবের দুটি মৌলিক কারণ যেমন- খাদ্য বা সূর্যালোকের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি গ্রহণ না করা।


সূর্যালোক গ্রহণের পাশাপাশি কিছু ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ খাবার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন-

১. পনির: ভিটামিন ডির ভালো উৎস এটি। সাধারণ অথচ মজাদার এই খাবার খেয়ে ভিটামিন ডির ঘাটতি পূরণ করতে পারেন। অন্যান্য পনিরের চেয়ে রিকোটা পনিরে বেশি ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। খাবারে পনিরের একটি অতিরিক্ত টুকরো দিলে মন্দ হবে না।

২. গোটা ডিম: গোটা ডিম খাওয়ার আরেকটি ব্যাখ্যা হল এর পুষ্টিগুণ। শুধুমাত্র ডিমের কুসুমেই ভিটামিন ডি থাকে। ডিম হল কোলিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিগুলোর একটি চমৎকার উৎস এবং এতে আপনার প্রয়োজনীয় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যামিনো অ্যাসিডও রয়েছে।

৩. মাশরুম: যদিও মাশরুমে খুব বেশি ভিটামিন ডি থাকে না, তবে এটি তৈরি হতে পারে যখন এর্গোস্টেরল নামক পদার্থের সাহায্যে অতিবেগুনি রশ্মি বিকিরণের সংস্পর্শে আসে। গবেষণায় দেখা গেছে, অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে আসা মাশরুমে ভিটামিন ডি বেশি পাওয়া যায়।

৪. স্যালমন: ভিটামিন ডি’র ভালো উৎস স্যালমন। পুষ্টিকর প্রোটিন এবং ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও প্রচুর পাওয়া যায়। ইমিউনোলজিক্যাল, পালমোনারি, এন্ডোক্রাইন এবং কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম সবই ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড দ্বারা সমর্থিত।

৫. সয়া মিল্ক: সয়াবিন শুকানোর আগে অনেক ঘণ্টা পানিতে ডুবে থাকে এবং উদ্ভিদ-ভিত্তিক দুধে পরিণত হয়। যদিও সয়ামিল্কে প্রচলিত গরুর দুধের মতো প্রায় একই প্রোটিন উপাদান রয়েছে। এতে উচ্চ মাত্রায় আয়রন, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন ডি ‘ও রয়েছে।

বিষয়ঃ গবেষণা

Share This Article