লবণাক্ত জমিতে ধান চাষের জিনোম আবিস্কার !

নিজস্ব সংবাদদাতা: দেশে প্রথমবারের মতো লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স আবিস্কার করেছে বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিট ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা। এর ফলে লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধান গবেষণায় নতুন মাত্রা সৃষ্টি হবে।
গত কয়েক দশকে দেশের দক্ষিনাঞ্চলে কৃষি জমির লবণাক্ততা বেড়েছে। ফলে এখানকার প্রায় ২০ লাখ হেক্টর বিশাল এলাকা এখন চাষের অনুপযুক্ত হয়ে গেছে। অন্যদিকে ক্রমাগত বাড়ছে দেশে খাদ্যের চাহিদা।
ধানের পূর্ণাঙ্গ জিনোম আবিস্কারে ফলে লবণাক্ততা ও জলমগ্নতা সহিষ্ণু ধান উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ এবং এসব এলাকায় বছরে দুই থেকে তিনটি ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে।
এখন পর্যন্ত দেশের বিজ্ঞানীরা বিভিন্ন মাত্রার গামা রেডিয়েশন প্রয়োগ করে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মিউট্যান্ট সৃষ্টি করে তা থেকে এম-সিক্স জেনারেশনের তিনটি উন্নত মিউট্যান্ট শনাক্ত করেছেন।
এই মিউট্যান্টগুলো প্যারেন্ট অপেক্ষা উন্নত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং ৮ ডিএস/এম মাত্রার লবণাক্ততা ও ১৫ দিন জলমগ্নতা সহিষ্ণু।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইতিপূর্বে আরোপিত মিউটেশনের মাধ্যমে ফসলের নানা জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। যেখানে ফসলের ফেনোটাইপের কাঙ্খিত পরিবর্তন দেখে উন্নত জাত শনাক্ত করা হতো। কিন্তু জিনোমের কোথায় পরিবর্তনের জন্য এমন বৈশিষ্ট্য সৃষ্টি হলো সেটির ব্যাখ্যা দেওয়া সম্ভব হতো না।
কিন্তু ২০১৯ সালে দেশে প্রথম প্যারেন্ট ও নির্বাচিত তিনটি মিউট্যান্ট ধানের জিনোম সিকোয়েন্সিং সম্পন্ন হয়। এরপর থেকে জিনোমের সঠিক বিন্যাস শনাক্ত করা গেছে। এর ফলে ধান গবেষণা ও ফসল উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।