বিসিবির ফিজিওথেরাপিস্টের উপর হামলা

  স্পোর্টস ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৬:১৫, সোমবার, ৩ অক্টোবর, ২০২২, ১৮ আশ্বিন ১৪২৯
মাইনুল ইসলাম সোহাগ
মাইনুল ইসলাম সোহাগ
  • বাউফলে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মাইনুল ইসলাম সোহাগ (৩০) নামে এক চিকিৎসকের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে
  • হামলার শিকার চিকিৎসক মাইনুল ইসলাম সোহাগ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফিজিওথেরাপিস্ট

বাউফলে চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মাইনুল ইসলাম সোহাগ (৩০) নামে এক চিকিৎসকের ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গুরুতর আহত ওই চিকিৎসককে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার দুপুরে উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের চৌমুহনী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার চিকিৎসক মাইনুল ইসলাম সোহাগ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ফিজিওথেরাপিস্ট।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সোহাগ তার পৈতৃক সম্পত্তিতে ঘর তুলতে যান। এ সময় দাসপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এএনএম জাহাঙ্গীর হোসেনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়।

সোহাগ বলেন, আমার মা হাওয়া বিবির সম্মতি ছাড়াই প্রায় ৩০ বছর আগে আমার বাবা একেএম খালেক দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এর পর থেকে আমার মাকে ভরণপোষণ দেননি আমার বাবা। সম্প্রতি আমার ছোট মা আনোয়ারা বেগম ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এর পর আমার মা হাওয়া বিবি স্ত্রীর স্বীকৃতি পেতে বাবার কাছে যান। কিন্তু বাবা কিছুতেই আমার মাকে মেনে নিচ্ছেন না। সব কিছু থেকেই আমার মা ও আমাদের বঞ্চিত করতে চাচ্ছেন আমার বাবা। রোববার বাড়িতে আমার মায়ের থাকার জন্য ঘর তুলতে যাই। তখন চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে আমার ওপর হামলা হয়।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সোহাগের বাবা আমার কাছে ঘরভাঙার অভিযোগ করেছেন। আমি ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি সোহাগ পুরনো ঘর ভাঙচুর করছে। বাধা দিলে সে আমার সঙ্গে অসদাচরণ করে। তখন আমার সঙ্গে থাকা ছেলেরা সোহাগকে কয়েকটা চড়থাপ্পড় দেয়। এর বেশি কিছু হয়নি।

চিকিৎসক সোহাগের বাবা একেএম খালেক ওরফে আরডিএস খালেক বলেন, বর্তমানে আমি ঢাকায় আছি। প্রায় ২৯ বছর আগে হাওয়া বিবিকে আমি ডিভোর্স দিই। তখন সে আমার নামে নারী নির্যাতন আইনে মামলা দেয়। ওই মামলায় আমি নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছি। আমার ছোট স্ত্রী মারা যাওয়ার পর এলাকার কিছু লোক সম্পত্তির লোভ দেখিয়ে ষড়যন্ত্র করে হাওয়া বিবিকে আমার ঘরে তুলে দিতে চায়। এটি মানা যায় না। তা ছাড়া এটা আমার পারিবারিক বিষয়। এখানে আপনাদের (সাংবাদিকদের) কাজ কি?

বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Share This Article