নৌপথ বাঁচানোর পথ বাতলে দিলেন বিশেষজ্ঞরা

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধিতে নৌযানের ভাড়া বেড়ে যাওয়ায় তীব্র যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে। বার বার লোকসান গুণতে হওয়ায় সার্ভিস বন্ধ করার আশঙ্কা করছেন নৌযান মালিকরা। এমনকি যাত্রীর অভাবে লঞ্চ কেটে বিক্রি করে দিচ্ছেন অনেকে। এমতাবস্থায় নৌযান সুরক্ষার দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২৫ হাজার কিলোমিটারের নৌপথ শুষ্ক মৌসুমে ৫ হাজার কিলোমিটারে পরিণত হয়। তাই নদী পথকে ধাপে ধাপে পুনর্জীবিত করতে হবে। এতে নৌপথে যাত্রী সেবার মান বাড়বে। ইউরোপের দেশ নেদারল্যান্ডের আদলে শতবর্ষী যে ডেল্টা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার তার সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) অধ্যাপক শামছুল হক বলেন, যোগাযোগের ক্ষেত্রে সব কিছু সড়কপথে নিয়ে আসা টেকসই উন্নয়নের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। বাজার প্রতিযোগিতায় নৌপথ যাতে হারিয়ে না যায় সেজন্য সরকারকে আরো কৌশলী হতে হবে।
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নৌপথ বাঁচাতে হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করতে হবে সরকারকে। পদ্মা সেতু দিয়ে চলাচলকারী পণ্যবাহী ট্রাকের টোল কমিয়ে যাত্রীবাহী বাসের টোল বাড়াতে হবে। ফলে নৌ-যোগাযোগের ভারসাম্য বজায় থাকবে। নৌ-নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার পাশাপাশি লঞ্চের ট্যাক্স ভ্যাট কমাতে হবে। নিচু সেতুগুলো ভেঙে উঁচু করে বানাতে হবে। সরকারি প্রণোদনা ও তদারকি বাড়ানোর তাগিদও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।