ধর্মীয় উৎসব ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে করণীয়
১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গেছে সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব 'দূর্গাপূজা' । এটি সনাতন ধর্মাম্বীদের উৎসব হলেও মুসলিমরাও যুগ যুগ ধরে শামিল হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এমন চিরাচরিত দৃষ্টান্ত বাংলাদেশকে আলাদা মর্যাদা ও পরিচিতি দিয়েছে।
তবে সংখ্যালঘুদের এমন উৎসবকে ঘিরে প্রায়শই দেশের কোন না কোন স্থানে অনাকাঙ্খিত কিছু ঘটনা ঘটে, যা সম্প্রীতির বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করে।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সারাদেশে সাম্প্রদায়িক হামলা হয়েছে ১০২টি। আর গত ৯ বছরে হামলা হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার।
তবে একটু সচেতন হলেই দুর্গাপূজা বা অন্য যেকোনও পূজা-পার্বণে এমন অনাকাঙ্খিত র্ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন সমাজ বিজ্ঞানীরা। এই জন্য তারা কিছু পরামর্শও দিয়েছেন।
উস্কানি বা গুজব ছড়ানোর প্রধান হাতিয়ার 'সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে'র কোন খবর, পোস্ট বা লাইভ দেখে যাচাই না করেই অনেকে হুজুগে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর ও উপাসনালয়ে ভাংচুর চালায়।তাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের উস্কানি বা গুজব এ প্রভাবিত হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
ফেসবুকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কারো আইডি থেকে উষ্কানীমূলক বা ধর্ম অবমাননাকর কোনো পোস্ট দেখলেই উত্তেজিত হয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখানো থেকে বিরত থাকুন,কারণ ফেসবুকে যে কোনো নাম দিয়ে ফেক আইডি খোলা যায়, আবার আইডি হ্যাকও করা যায়। তাই পোস্টকারী উদ্দেশ্যমূলকভাবে পোস্ট করেছে কিনা তা না জেনে প্রতিক্রিয়া দেখাতে যাবেননা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যদি কেউ সত্যিই ধর্ম অবমাননার কোনো পোস্ট করেও থাকে তবে তা প্রশাসনের নজরে আনুন।নিজেদের উদ্যোগে কোনও উষ্কানীমূলক পোস্ট বা কর্মকান্ডে জড়িত হবেননা।
এলাকার রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি বা বিশিষ্ট ব্যক্তির প্ররোচণায়ও হামলা, ভাংচুর বা অগ্নিসংযোগে লিপ্ত হবেন না। কারণ অনেক ক্ষেত্রেই তারা সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি দখল বা রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশ্যে এমনটি করতে পারে।
মনে রাখতে হবে সংখ্যালঘু বা যেকোনও সম্প্রদায়ের ধর্মভীরু মানুষরা অন্য ধর্মের প্রতিও স্রদ্ধাশীল থাকে।কুচক্রীরাই ধর্মকে ইস্যু করে উস্কানি ও গুজব ছড়িয়ে স্বার্থ হাসিল করে থাকে।ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ মানুষ,ধর্মীয় সম্প্রীতি, সামাজিক মূল্যবোধ এবং আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয় রাষ্ট্রের।