যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি সাড়ে ৫৪ শতাংশ বেড়েছে
এ হিসেব বছরের প্রথম সাত মাসের, জানুয়ারি থেকে জুলাই। এই সময়ে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্র আমদানি করেছে ৫ দশমিক ৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পোশাক। এটি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৪.৪৩ শতাংশ বেশি। যুক্তরাষ্ট্রের অফিস অব টেক্সটাইল এন্ড এ্যাপারেলের (ওটিইএক্স)’ সর্বশেষ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে বিশ্ববাজার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক আমদানি ৩৯ দশমিক ০৬ শতাংশ বেড়েছে।
চীন থেকে আমদানি বেড়েছে ৪০ শতাংশ। দেশটি থেকে শীর্ষ পোশাক আমদানিকারক যুক্তরাষ্ট্র চলতি বছরের জানুয়ারি-জুলাইয়ে আমদানি করেছে ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারের।
একই সময়ে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, কম্বোডিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া এবং পাকিস্তান থেকেও যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, মূলত করোনা মহামারী থেকে ঘুরে দাঁড়ানো এবং ভোক্তাদের কেনাকাটা বৃদ্ধির ফলে খুচরা বিক্রয় স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বাড়ে। তবে মুল্যস্ফীতি, ফেডের হার বৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক মন্দার কারণে ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধির এই ঊর্ধ্বমুখী ধারা কতটা টিকে থাকবে সেটি ভাবনার বিষয়।
তিনি জানান, এবার অস্বাভাবিক দীর্ঘ গরমের কারণে শীতের পোশাকের চাহিদাও তুলনামুলক কম।