যুবদল কর্মী শাওনের মৃত্যু গুলিতে নয়, ইটের আঘাতে: পুলিশ

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ বিকাল ০৫:১৬, বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ১৩ আশ্বিন ১৪২৯

মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় যুবদল কর্মী শহিদুল ইসলাম ওরফে শাওনের মৃত্যু গুলিতে নয়, ইটের আঘাতে হয়েছে বলে দাবি করেছে মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ।
 

 

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান আল মামুন এ দাবি করেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান আল মামুন বলেন, ২১ সেপ্টেম্বর পুলিশের ওপর বিএনপির নেতা-কর্মীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপের একপর্যায়ে যুবদল কর্মী শাওন ও তাঁর সঙ্গে থাকা বিএনপির অপর এক কর্মীর পেছন থেকে ছোড়া ঢিলে আঘাত পান। তাঁকে আত্মীয়স্বজন চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান। পরদিন রাত আনুমানিক ৯টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি মারা যান।

পুলিশ সুপার আরও বলেন, নিহত শাওনের মরদেহের সুরতহাল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সম্পন্ন করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে হস্তান্তর করা হয়। 

ফরেনসিক বিভাগ লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করতে ভিসেরা পরীক্ষা করে। ভিসেরা পরীক্ষায় কোনো বিষ নেই মর্মে মতামত দেওয়া হয়। সুরতহাল ও ভিসেরা প্রতিবেদন পর্যালোচনায় ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে মাথায় আঘাতের কারণে শাওনের মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মাথার পেছনে থেঁতলানো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

এ বিষয়ে নিহত শাওনের মা লিপি আক্তার বলেন, ‘যারা বলছে, আমার ছেলে ইটের আঘাতে মারা গেছে, তারা ওই ভিডিওটি দেখুক, যেখানে গুলির শব্দ হলো, ধোঁয়াও বের হলো, তখন আমার ছেলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ল। হাসপাতালের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, গুলির আঘাতে শাওন মারা গেছে। অথচ তারা সেই রিপোর্টকে মিথ্যা বলছে।’

শাওনের মা আরও বলেন, ‘আমার একটা ছেলে গেছে। আমার আরও তিনটা ছেলে আছে। আমার স্বামী আছে। আমি তাদের হারাতে চাই না। আমি নিরাপত্তা চাই। কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে চাই না।’ 

তিনি বলেন, ‘আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। যারা হুমকি দিচ্ছে, আমরা তাদের চিনি না। যারা হুমকি দিচ্ছে, তারা বলছে, আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে মরে নাই। আমার ছেলে ইটের আঘাতে মারা গেছে। তারা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা পাল্টে ইটের আঘাতে মারা গেছে—এমন মামলা দিতে বলছে। আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে।’

নিহত শাওন মুন্সিগঞ্জ উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভার মুরমা এলাকার ছোয়াব আলীর বড় ছেলে। তিনি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চালক ছিলেন। পাশাপাশি মিরকাদিম পৌরসভা ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের কর্মী হিসেবে দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতেন।

পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান আল মামুন বলেন, শাওন হত্যাকাণ্ডের ঘটনার বিষয়টি আদালতে জানিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। নিহত শাওনের পরিবারকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে তাঁরা বদ্ধপরিকর। শাওনের পরিবারের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে। প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হবে।

জ্বালানি তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি ও দলীয় নেতা-কর্মী হত্যার প্রতিবাদে মুন্সিগঞ্জ শহরের পাশে মুক্তারপুরে ২১ সেপ্টেম্বর বেলা তিনটার দিকে বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করে জেলা বিএনপি। সেখানে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষের মধ্যে শাওন ও বিএনপির সমর্থক জাহাঙ্গীর মাদবর (৩৮) গুরুতর আহত হন। পরের দিন রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শাওনের মৃত্যু হয়। 

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা হয়। এসব মামলায় বিএনপির ১ হাজার ৩৬৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়েছে। দুটি মামলায় ২৪ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বিষয়ঃ পুলিশ

Share This Article


দুর্নীতি করব না, প্রশ্রয়ও দেব না: দীন মোহাম্মদ

উপজেলা নির্বাচন: প্রার্থীর মালিকানাধীন স্থানে ভোটকেন্দ্র নয়

ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসতে পারে আগামীকাল

মস্কোতে আইএসের হামলার সামর্থ্যে বিশ্বাস নেই রাশিয়ার

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত

কাতারের আমিরের বাংলাদেশ সফরে গুরুত্ব পাবে যেসব বিষয়

ব্যক্তিগত অর্জন নয়, দেশের জন্য খেলি: সাকিব

সন্ধ্যার মধ্যে ঝড় হতে পারে যেসব অঞ্চলে

গাজায় নিহত আরও ৭৬, প্রাণহানি বেড়ে সাড়ে ৩২ হাজার

সীমান্তে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দিলো বিএসএফ

কেরানীগঞ্জে অবৈধ ভবনের বিরুদ্ধে রাজউকের অভিযান

বাল্টিমোর সেতুধসের ঘটনায় দুইজনের লাশ উদ্ধার