রূপপুর প্রকল্প : দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর স্থাপন ১৬ অক্টোবর

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভ্যাসেল আগমী ১৬ অক্টোবর স্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি এটি উদ্বোধন করবেন। শনিবার রাজধানীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার মিলনায়তনে এক সেমিনারে এ কথা জানান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি খাত নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সংবাদকর্মীদের সংগঠন এটমিক রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এআরবি) ‘নতুন বিশ্ব বাস্তবতায় বাংলাদেশে পরমাণু শক্তির সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই সেমিনার আয়োজন করে।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়ে ইয়াফেস ওসমান বলেন, ‘দেশের মানুষের নিরাপত্তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবচেয়ে প্রধান গুরুত্বের বিষয়। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে কোর ক্যাচার বসানো হচ্ছে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জিয়াউল হাসান, সম্মানীয় অতিথি হিসেবে পরমাণু বিজ্ঞানী এবং এনপিসিবিএল'র ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. শৌকত আকবর বক্তব্য দেন।
জিয়াউল হাসান বলেন, কার্বন নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণে সরকারের লক্ষ্য অর্জনে গতানুগতিক জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বেরিয়ে পারমাণবিকের মতো গ্রিন এনার্জিতে যেতে হবে। বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর দুই বছর পর থেকে রাশিয়ার ঋণ রিপেমেন্ট শুরু হবে।
ড. শৌকত আকবর বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিনিয়োগ ব্যয় কখনোই অন্য দেশের চেয়ে বেশি নয়। আর প্রতি ইউনিটের উৎপাদন খরচ সাড়ে চার টাকার বেশি হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এটমিক রিপোর্টার্স বাংলাদেশ’র সেক্রেটারি ফজলে রাব্বির সঞ্চালনায় সেমিনারে আলোচক হিসেবে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মো. আরিফুল সাজ্জাত বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সংগঠনের ভাইসপ্রেসিডেন্ট জিন্নাতুন নূর।