ঘরোয়া বিনোদনের সংজ্ঞা সংজ্ঞা পাল্টে দিচ্ছে ওটিটি

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ সন্ধ্যা ০৭:৫৪, রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২, ২৭ ভাদ্র ১৪২৯

বিনোদন ডেস্ক : করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাবে মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়ায়  বিশ্বব্যাপী অর্থনীতি এবং শিল্পের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ঘরবন্দি হয়ে পড়ায় লকডাউনে মানুষের বিরক্তিও পৌঁছে গিয়েছিল চরমে। তখনকার অলস সময়ে বিভিন্ন সিনেমা, শো এবং সিরিজে ভরপুর নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, ডিজনিপ্লাস, এইচবিও ম্যাক্সের মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছিল মানুষের বিনোদনের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম। 

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন বৈচিত্র্যময় কন্টেন্টের জন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমেই মানুষ এখন পছন্দমতো কন্টেন্ট দিয়ে ওয়াচলিস্ট সাজাতে পারে।

এইচবিও ম্যাক্স এবং ডিজনিপ্লাসের তুলনায় মানুষের কাছে নেটফ্লিক্স বেশি জনপ্রিয়। এইচবিও ম্যাক্স আর ডিজনিপ্লাসের গ্রাহক সংখ্যা যেখানে যথাক্রমে ৭ কোটি ৪০ লাখ এবং ৮ কোটি ৭৬ লাখ, সেখানে বিশ্বের ১৯০টিরও বেশি দেশে ছড়িয়ে আছে নেটফ্লিক্সের ২২ কোটি ৬ লাখ গ্রাহক।

অঞ্চল আর ঘরানা ভেদে বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজের বিপুল সংগ্রহশালাই নেটফ্লিক্সের এমন জনপ্রিয়তার মূল কারণ। যদিও চীন, ক্রিমিয়া, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া এবং সিরিয়ায় নেটফ্লিক্সের গ্রাহক নেই।

নেটফ্লিক্স

মার্ক র‍্যান্ডলফ এবং রিড হেস্টিংস নামের দুই ব্যক্তির মাথায় সর্বপ্রথম নেটফ্লিক্সের ধারণা এসেছিল। সেই ধারণা থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার স্কটস ভ্যালিতে ১৯৯৭ সালের ২৯ আগস্ট নেটফ্লিক্স প্রতিষ্ঠিত হয়।

মাত্র ৩০ জন কর্মচারী এবং ৯২৫টি অ্যাক্সেসযোগ্য কন্টেন্ট নিয়ে নেটফ্লিক্সের যাত্রা শুরু। ২ ডলার ডেলিভারিসহ মাসিক ৪ ডলারের বিনিময়ে যে কেউ নেটফ্লিক্সের গ্রাহক হতে পারতো।

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নেটফিলক্সের জনপ্রিয়তা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পায়। ২০০৫ সালের মধ্যে এই প্ল্যাটফর্মের গ্রাহকসংখ্যা ৪২ লাখে পৌঁছায়। ২০০৬ সালের ১ অক্টোবর ভিডিও রিকমেন্ডেশন সিস্টেম তৈরিকারী প্রথম ব্যক্তির জন্য ১০ লাখ মার্কিন ডলার ঘোষণা করে, যা প্রতিষ্ঠানের বর্তমান অ্যালগরিদম সিনেম্যাচকেও ছাপিয়ে যেতে পারে।

২০১৩ নেটফ্লিক্সের সিরিজ "হাউস অব কার্ডস" তিনটি প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ড জিতেছিল। ২০১৪ সালে ছয়টি ইউরোপীয় দেশে নেটফ্লিক্সের প্রসার ঘটে এবং  "হাউস অব কার্ডস" এবং "অরেঞ্জ ইজ দ্য নিউ ব্ল্যাক"-এর জন্য স্ট্রিমিং পরিষেবাটি  সাতটি সৃজনশীল এমি অ্যাওয়ার্ড জিতে নেয়।

পরবর্তীতে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের উত্থান হওয়ায় নেটফ্লিক্সের গ্রাহক ৫০ কোটি ছাড়িয়ে যায়। ২০১৬ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী গ্রাহক সংখ্যা বাড়ানোর লক্ষ্যে নতুন অরিজিনাল কন্টেন্ট নির্মাণের ওপর জোর দেয় স্ট্রিমিং পরিষেবাটি। সেই থেকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বাজারে নেটফ্লিক্সের আধিপত্যের শুরু।

অ্যামাজন প্রাইম

ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলোর মধ্যে আরেকটি জনপ্রিয় স্ট্রিমিং পরিষেবা হলো অ্যামাজন প্রাইম। এসওভিডি (সাবস্ক্রিপশন ভিডিও অন ডিমান্ড) এবং টিভিওডির (ট্রাঞ্জেকশনাল ভিডিও অন ডিমান্ড) মাধ্যমে এই স্ট্রিমিং পরিষেবাটির অর্থ উপার্জন করে থাকে।

ওটিটি প্ল্যাটফর্মটির মূল সংস্থা অ্যামাজন স্ট্রিমিং পরিষেবা থেকে একটি রাজস্ব প্রতিবেদন পেয়ে থাকে৷ মাসিক সাবস্ক্রিপশন ফি নির্ধারিত না থাকাও এর আরেকটি কারণ। এর পরিবর্তে প্রাইম সদস্যদের বিশাল বার্ষিক সাবস্ক্রাইবার বেসের ওপর নির্ভরশীল, যারা প্রাইমের সব কন্টেন্টের জন্য বার্ষিক ১১৯ মার্কিন ডলার ব্যয় করে থাকে।

২০১৯ সালের শেষ দিকে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর গ্রাহক সংখ্যা ছিল ৯ কোটি ৬৫ লাখ, যা এখনও বেড়ে চলেছে। অ্যামাজনের ব্যবসার অনেকগুলো শাখার মধ্যে প্রাইভ ভিডিওর কর্মী সংখ্যাই তুলনামূলক কম। তবে অ্যামাজন খুব দ্রুতই বিভিন্ন দেশের ১৫টি কার্যালয়ের মাধ্যমে লোকবল বাড়িয়ে এ অবস্থা উত্তরণের চেষ্টা করছে।

ফ্রি শিপিং, প্রাইম ভিডিও, প্রাইম রিডিং, প্রাইম মিউজিক, গেমিং, আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট ইত্যাদি অফার চালুর মাধ্যমে অ্যামাজন প্রাইম বিশ্বের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে লাভজনক সাবস্ক্রিপশন মডেল হয়ে উঠেছে। সাবস্ক্রিপশন পরিষেবাগুলোর মাধ্যমে অ্যামাজন বিশ্বব্যাপী ৩,১৮০ কোটি মার্কিন ডলার আয় করে থাকে। 

নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজন প্রাইমের তুলনামূলক পর্যালোচনা

নেটফ্লিক্স ফোরকে এবং এইচডিআর কন্টেন্ট সম্প্রচার করে থাকে। ভিডিও এবং শব্দের কোয়ালিটিও থাকে অনন্য। অন্যদিকে, ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগে অ্যামাজন প্রাইম এইচডি কোয়ালিটির কন্টেন্ট সম্প্রচার করতে পারে না।

নেটফ্লিক্সে গ্রাহক শুধুমাত্র সিনেমা এবং টিভি সিরিজ দেখা যায়। অন্যদিকে, সিনেমা ও টিভি সিরিজের পাশাপাশি অ্যামাজন প্রাইমের গ্রাহকেরা অ্যামাজন প্রাইম মিউজিক এবং দ্রুততর সময়ে অ্যামাজন ডেলিভারির মতো বাড়তি সুবিধাও ভোগ করতে পারে। 

গেমিং কনসোলসহ বিভিন্ন ধরনের ডিভাইসে নেটফ্লিক্স সমর্থন করলেও অ্যামাজন প্রাইমের ক্ষেত্রে চিত্র সম্পূর্ণ বিপরীত। 

অনেক বিখ্যাত ইন-হাউস ডকুমেন্টারি ও সিরিজ নিয়ে নেটফ্লিক্সের সংগ্রহশালা সুবিশাল হলেও অ্যামাজন প্রাইমের সংগ্রহশালা তুলনামূলক ছোট। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যামাজন প্রাইমের তুলনায় নেটফ্লিক্স তুলনামূলক ব্যয়বহুল।

এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সের শুধুমাত্র ৮৯৭টি  সিনেমা রেট করা হয়নি। পক্ষান্তরে, এখন পর্যন্ত অ্যামাজন প্রাইমের শুধুমাত্র ৩১ হাজার ৬৬টি  সিনেমা রেট করা হয়নি। অর্থাৎ রেট করার জন্য হয় সিনেমাগুলো বেশ পুরোনো, নয়ত রেটিং প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাওয়ার মতো যথেষ্ট বড় না।

ব্যবহারকারীকে সীমিত ডাউনলোডের জন্য নেটফ্লিক্স অনুমতি দিলেও ভিডিও ডাউনলোডের জন্য অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও গ্রাহকদের সামনে কোনো সীমাবদ্ধতা রাখে না।

কন্টেন্টের লড়াই

নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজন প্রাইমের মধ্যে তুলনামূলক পর্যালোচনা করতে গেলে কন্টেন্টের লড়াইও বিবেচ্য বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী কন্টেন্টের কথা বিবেচনা করলে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিও অপ্রত্যাশিতভাবে নেটফ্লিক্সকে ছাড়িয়ে গিয়েছে।

২৪ হাজার চলচ্চিত্র এবং ২১ হাজার টিভি শো নিয়ে অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর সংগ্রহের পরিধি সুবিশাল। অন্যদিকে, নেটফ্লক্সের অরিজিনাল (নিজস্ব) কন্টেন্টের সংখ্যা ১৫ হাজার হলেও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মে তৃতীয় পক্ষের কন্টেন্টের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ওঠানামা করে।

তবে কন্টেন্টের দিক থেকে অ্যামাজন প্রাইমের চেয়ে নেটফ্লিক্স এখনও যোজন যোজন এগিয়ে রয়েছে। কন্টেন্টের মানের দিক থেকে নেটফ্লিক্স বরাবরই অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওকে ছাপিয়ে এসেছে। তাই তুলনামূলক ব্যয়বহুল হলেও অ্যামাজন প্রাইমের চেয়ে নেটফ্লিক্সের কন্টেন্ট নিয়েই সবার আগ্রহ বেশি

তাছাড়া, অ্যামাজন প্রাইমের তুলনায় নেটফ্লিক্সের অরিজিনাল কন্টেন্টও ঢের বেশি। ২০২২ সালের মধ্যে নেফ্লিক্স প্রায় দুই হাজার মৌলিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করবে, যেগুলো শত শত মনোনয়ন এবং ১৫টি একাডেমি পুরস্কার পাবে। 

নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজন প্রাইমের মধ্যে কোন স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মটি ভালো, সেই বিবেচনায় আরেকটি মানদণ্ড হয়ে ওঠে গ্রাহক সংখ্যা। সেই দিক থেকে ২১৩ মিলিয়ন গ্রাহক নিয়ে নেটফ্লিক্স অনেক আগেই জনপ্রিয়তার দিক থেকে ১৭৫ মিলিয়ন গ্রাহকের অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওকে ছাড়িয়ে গেছে।

দর্শকদের গ্রহণযোগ্যতা

আগেই বলা হয়েছে নেটফ্লিক্স ফোরকে এবং এইচডিআর কন্টেন্ট সম্প্রচার করে থাকে। অন্যদিকে, অ্যামাজন প্রাইম কেবলমাত্র এইচডি কোয়ালিটির কন্টেন্ট সম্প্রচার করে থাকে।

তাই অনন্য ভিজ্যুয়াল অভিজ্ঞতার জন্য স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে নেটফ্লিক্সই দর্শকদের প্রথম পছন্দ। বিশেষ করে যারা ৮৫ ইঞ্চির টিভি থেকে নেটফ্লিক্স স্ট্রিম করে থাকেন, তারা ঘরেই বসেই সিনেমাহল বা থিয়েটারের স্বাদ পেতে পারেন।

তাছাড়া, বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন মজার টিভি শো আর চলচ্চিত্র এবং বিভিন্ন পারিবারিক ফ্র্যাঞ্চাইজির কন্টেন্টের কারণে ফ্যামিলি অডিয়েন্সের কাছেও নেটফ্লিক্সের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা বেড়েছে।

স্ট্রিমিংয়ের কাছে ধরাশায়ী টিভি সম্প্রচার

সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মানুষের পছন্দ আর রুচিতে পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে মানুষের বিনোদনের অন্যতম প্রধান উৎস। ফলে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মের চাহিদা বাড়ায় কমেছে টিভি দর্শকদের সংখ্যা।

এনএমএস এবং নিয়েলসেন বাংলাদেশের সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৯৮ ও ২০১১ সালে বাংলাদেশে টিভি দর্শকের হার যথাক্রম ৪২% এবং ৭৪% ছিল। ২০১৬ সালের দিকে সেই হার ৮২.৯%-এ পৌঁছায়। তবে ২০১৭ সাল থেকে দেশের টিভি দর্শকদের হার ৮০-এ নেমে এসেছে।

সময়ের সঙ্গে দেশে বেড়েছে টেলিভিশন চ্যানেলের সংখ্যা। কিন্তু বাড়েনি সম্প্রচার হওয়া কন্টেন্টের মান। সঙ্গে যোগ হয়েছে বাড়তি বিজ্ঞাপন বিরতির বিড়ম্বনা। ফলে টিভির সামনে বসে বাড়তি সময় নষ্ট করতে অনেকেই এখন আগ্রহী নন। সেই সঙ্গে সুপরিকল্পনার অভাবে লোকসানের কারণে অনেক চ্যানেলের পেশাদার কর্মীরা চাকরি হারিয়ে হয়েছেন বেকার।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানান, ডাউনলিংক আন্তর্জাতিক টেলিভিশন নেটওয়ার্কে বাংলাদেশি বিজ্ঞাপন প্রচারের কারণে টিভি সম্প্রচারকরা প্রতি বছর বিজ্ঞাপনের ৫০০-১০০০ কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছেন। এ কারণে বর্তমানে বিদেশ নেটওয়ার্কে স্থানীয় বিজ্ঞাপন প্রচার নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

পুঁজিবাদের ধাক্কায় বাজেটের অভাবের কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্পনসরশিপ ছাড়া স্থানীয় চ্যানেলগুলোর পক্ষে কাজ চালিয়ে যাওয়া কঠিন। এ কারণে বিজ্ঞাপন প্রচার ব্যতিত চ্যানেলগুলোর সামনে বিকল্প পথ নেই। ফলে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে কীভাবে টিভি চ্যানেলগুলোকে টিকিয়ে রেখে দাঁড় করানো যায়, তা নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ভাবার সময় এসেছে।

যেভাবে টিভি চ্যানেলগুলো টিকে থাকতে পারে

দর্শক চাহিদা বাড়াতে কন্টেন্টের মানোন্নয়নের কোনো বিকল্প নেই। সেই সঙ্গে কমাতে হবে বিজ্ঞাপনচিত্রের বাহুল্যতাও। কেননা যেকোনো দর্শকই টিভির সামনে বসেন বিনোদনের আশায়। কাজেই দর্শক চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করতে না পারলে প্রতিযোগিতামূলক বাজারে টিভি চ্যানেলগুলোর টিকে থাকা কঠিন হবে।

এক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে অনলাইন স্ট্রিমিং পরিষেবাগুলোয় স্থানীয় টিভি চ্যানেলের কন্টেন্ট রাখা। লাইভ টিভি স্ট্রিমিং পরিষেবা দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে স্থানীয় টিভি চ্যানেলগুলো ওভার-দ্য-এয়ার অ্যান্টেনা টিভিকে একত্রিত করে নিজেদের সংবাদ, খেলাধুলা, লাইভ ইভেন্ট এবং শোগুলিকে সম্প্রচার করার মাধ্যমে টিভি চ্যানেলগুলোর গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো যেতে পারে।

Share This Article