সুগন্ধি ছড়াবে নতুন ধান, তাড়াবে পোকাও !

স্টাফ রিপোর্টার: ফসলের জাত উদ্ভাবনে দীর্ঘদিন ধরে ইনট্রুডাকশন, ক্রসিং ও সিলেকশন, হাইব্রিডাইজেশন, মিউটেশন পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন গবেষকরা। পরে জেনেটিক্যাল মডিফাইড ক্রপস (জিএমও) প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হলেও সারাবিশ্বে এর সমালোচনা শুরু হয়।
সুগন্ধি চালের বিদেশে প্রচুর চাহিদা থাকা সত্বেও মাজরা ও কারেন্ট পোকার কারণে প্রায় ১০-১৮ ভাগ ফলন হারানোসহ পোকা দমনে প্রতিবছর প্রচুর পরিমাণ রাসায়নিক কিটনাশক ব্যবহার করতে হয়, যা স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ কারণে এই ধান চাষে বিমুখ হচ্ছেন দেশের কৃষকরা।
এবার আধুনিক ও বিতর্কমুক্ত প্রযুক্তি ‘ক্রিসপার ক্যাস-৯’প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধানের জিন পরিবর্তনে সফল হয়েছে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) এর গবেষকরা।
এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশে বহুল চাষকৃত ব্রি ধান ৮৭, ব্রি ধান ৮৯ ও ব্রি ধান ৯২ জাতের ধানে সুগন্ধি ঢুকানোসহ জিন পরিবর্তন করে মাজরা পোকা ও কারেন্ট পোকা প্রতিরোধী জিন ঢুকিয়ে নতুন জাত উদ্বাবন করছেন বাংলাদেশের গবেষকরা।
দীর্ঘ প্রচেষ্টায় সুগন্ধি ও পোকা প্রতিরোধী ২৪টি গাছ পাওয়া গেছে। বর্তমানে ধানের শীষগুলো পাকতে শুরু করেছে। আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে বীজ পাওয়া যাবে।
ক্রিসপার ক্যাস-৯ প্রযুক্তিতে অধিক ফলনশীল যে কোনো ধানের জাতে সুগন্ধি বৈশিষ্ট্য প্রকাশ করা যায়। একই সাথে গাছে সেরোটোনিন উৎপাদনে বাধা দিয়ে পোকা প্রতিরোধী ধানের জাতও উৎপন্ন করা যায়।
‘ক্রিসপারক্যাস-৯’ প্রযুক্তি দিয়ে জীবের জিনোমকে খুব সহজেই কাটছাঁট করা যায়। চাইলে প্রত্যাশিত পরিবর্তনও করা যায় জিনোমে। আর সেই পদ্ধতিপ্রয়োগ করেই দেশে প্রথম সফল হয়েছেন ব্রি’র গবেষকরা।
উল্লেখ্য, ক্রিসপার ক্যাস-৯ প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য ২০২০ সালে রসায়নে নোবেল পুরস্কার পান জার্মানির বিজ্ঞানী ইমান্যুায়েল চার্পেনিয়ার ও আমেরিকার জেনিফার দোদনা।