সার উৎপাদন : স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ !

  বাংলাদেশের কথা ডেস্ক
  প্রকাশিতঃ দুপুর ০১:২০, বৃহস্পতিবার, ২৮ জুলাই, ২০২২, ১৩ শ্রাবণ ১৪২৯

রাশিয়া-ইউক্রেন সংকটের কারণে জ্বালানি সরবরাহের তীব্র ঘাটতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন হুহু করে সারের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে, ঠিক তখনই সার উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যেতে শুরু করেছে বাংলাদেশ।

 

বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি)এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রতিবছর সাড়ে ২৬ লাখ টন ইউরিয়া সারের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে পাঁচটি সার কারখানা থেকে প্রতিবছর ১৬ লাখ টন উৎপাদন হচ্ছে। বাকি সার আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হলেও আশার কথা হচ্ছে চলতি বছরের মধ্যেই চাহিদার চেয়ে বেশি সার উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।  

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন নভেম্বরের মধ্যে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার কারখানা থেকে ৯ লাখ ২৪ হাজার টন সার উৎপাদিত  হবে। এছাড়া পুরাতন সার কারখানাগুলো সংস্কারের মাধ্যমে আরও ৫ থেকে ৬ লাখ টন সারে উৎপাদিত হবে।ফলে চাহিদার পুরো সার দেশেই উৎপাদন করা যাবে।

এক বছর আগে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে এক টন ইউরিয়া সার ৫০০ ডলারে কিনলেও এখন সেটি ৮০০ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। টিএসপি সারের দাম ২০০-৩০০ ডলার থাকলেও সেটি বেড়ে ৬০০-৭০০ ডলারে বিক্রি হচ্ছে। এ অবস্থায় সার উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হলে বাংলাদেশ কৃষি খাতে আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

এ বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমদানির চেয়ে উৎপাদিত সারের দাম অনেক কম। এমনিতেই সার বেশি দামে কিনতে বাধ্য হওয়ায় প্রতি বছরই হাজার হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেয় সরকার। এসব কিছু বিবেচনায় নিয়েই সার উৎপাদনের দিকে ঝুঁকছে সরকার।

অন্যদিকে, চলমান সংকটের মধ্যেও দেশে ৭ লাখ টনের বেশি সার মজুত রয়েছে। এ সার দিয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত চাহিদা মিটবে। আসছে আমন মৌসুমেও সার পেতে সমস্যা হবে না বলেও জানান কৃষিমন্ত্রী।

বিষয়ঃ বাংলাদেশ

Share This Article